আজ ৩০ জুন রোজ সোমবার বিকাল ৫ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর লিবাস টেক্সটাইল লিমিটেড এর শ্রমিক আন্দোলন শুরু করেন। ঘটনা স্থলে গিয়ে আমরা জানতে পেরেছি যে কারখানায় নিডেল ভাঙ্গা কে কেন্দ্র করে আন্দোলনের সূত্রপাত হয় পরবর্তীতে জানা যায় যে কারখানার ইউনিট ৩ এর সুইং অপারেটর মোঃ ফরহাদ কে মারধর করেন ফ্লোরের লাইনসিফ আশিক ও ইনচার্জ রিপন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিক রাও কারখানার এ্যাডমিন জি.এম জনাব জুলফিকার সাহেব কে মারধর করেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যায় তখন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বি.জি.বি) ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরবর্তীতে আলোচনার ব্যবস্থা করেন প্রশাসন সেখানে উপস্থিত করা হয় কারখানার ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এম.ডি) জনাব ইন্জিনিয়ার মোঃ তৌহিদুর রহমান সাহেব কে সেখানে প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়নে শ্রমিক পক্ষে বক্তব্য রাখেন ইউনিট ০১ এর সুইং অপারেটর জীবন হোসেন ও বিভিন্ন দাবি পেশ করেন।
দাবি গুলো হচ্ছে যথাক্রমেঃ
১/ ওয়ারকার মারধর করা হয়।
২/ শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবেনা ও ছাঁটাই কৃত সকল শ্রমিকদের চাকরিতে পূণরায় বহাল করতে হবে।
৩/ কারখানার শ্রমিকদের জিম্মি করে রাখা হয় ( গেইট পাশ বন্ধ করে দেয়া হয়)
৪/ বাহিরের লোক দিয়ে শ্রমিকদের মারধর করানো হয়।
৫/ ইউনিট ১ এর একজন অপারেটর কে কারখানার ২ নং গেইটে মারধর করা হয়।
৬/ প্রতি দিন শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়।
৭/ ফ্লোরের স্টাফরা শ্রমিকদের গালিগালাজ করেন।
৮/ পূরাতন স্টাফদের বের করে দিতে হবে।
৯/ তিন জন কে এখন ই বের করে দিতে হবে।
ক. ফুলমিয়া.........টেকনেশিয়ান।
খ. আনোয়ার.........ডাইং
গ. তৌহিদু...........আই.ই ইউনিট ১
সকল দাবি পেশ করার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ এম.ডি মহোদয় সকল দাবি মেনে নিয়ে বলেন যে বর্তমান সময়ে কারখানায় যে, উৎপাদন হয় তা দিয়ে শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করা যায়না তার পর ও আমরা আমাদের কারখানা বন্ধ করে দেই নাই। তাই সকল বিষয়ের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কারখানার ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এম.ডি) মহোদয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড যেন না হয় সে জন্য সকলকে অনুরোধ জানান তিনি।