রোববার বেলা সাড়ে ৮ টার সময় শার্শার রামচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটলে হাসের খামারটি বিক্ষুদ্ধ গ্রাম বাসি ভাংচুর করে। এর আগে ওই খামারে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে গরু, কুকুর ও শিয়াল মারা যাওয়ায় গ্রাম বাসি খামার মালিককে শিয়াল মারার জন্য পেতে রাখা বিদ্যুৎ তারটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বলে। এঘটনায় খামার মালিক এর পক্ষের লোকজন আহাদ আলীর ও একটি ঘরের চাল ভেঙ্গেছে এবং মামলা না করার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগি পরিবার।
আহাদ আলী শার্শা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন এর রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাহাদুর মোড়ল এর ছেলে। ওপরদিকে হাসের খামার মালিক সোহাগ হোসেন ওরফে কালূ একই গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগি পরিবারের জুলেখা বেগম বলেন, তার শশুর বাড়ি থেকে সকালে খেয়ে তাদের জমিতে কাজ করতে যায়। তাদের জমির পাশে ছিল একই গ্রামের কালুর হাসের খামার। সে ওই খামারে শিয়াল মারার জন্য প্রতিদিন বিদ্যুৎ এর সংযোগ দিয়ে রাখত। ওই সংযোগ এর তার তাদের জমির আইলের উপর দিয়ে ফেলে রাখা হয়। আজ কালূ বিদ্যুৎ অফ না করায় এ দুর্ঘটনার শিকার হয় তার শশুর। তিনি বলেন এদিকে কালূর চাচাতো ভাই জুয়েল বাড়ি এসে নিজেকে পুলিশের বড় গোয়েন্দা পরিচয় দেয়। সে ভুক্তভোগি পরিবারকে মামলা না করার জন্য হুমকি দেয়। আমার স্বামী সহ তারা তিন ভাই বিদেশ থাকায় আমাদের বাড়িতে কেউ নাই। আমরা তাদের হুমকির জন্য মামলা করতে ভয় পাচ্ছি।
গ্রামবাসি বলে কালুর হাসের ফার্মে পেতে রাখা ফাঁদে একটি গুরু একটি কুকুর ও একটি শিয়াল এর আগে মারা যাওয়ায় গ্রামবাসি তাদের বিদ্যুৎ এর ফাঁদ পাতা থেকে বিরত থাকতে বলে। কিন্তু তারা তাদের জায়গায় অটল থাকায় আজ এ দুর্ঘটনার শিকার হয় আহাদ আলী। গ্রামবাসি আরো জানায় কালুর চাচাতো ভাই পুলিশের বড় গোয়েন্দা অফিসার জুয়েল বাড়ি এসে মামলা না করার জন্য চাপ দেয় ভুক্তভোগি পরিবারকে।
জুয়েল কে পুলিশ এর কোন পদে আছে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় সে একজন কনষ্টবল। এর আগে সে ডিবিতে ছিল। মামলা না করতে হুমকি দিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি তাদের কোন হুমকি দেয়নি। যদি কেউ এমন কথা বলে থাকে তবে তা মিথ্যা কথা। আহাদ আলীরা আমাদের আত্নীয় ।
শার্শা থানা ওসি রবিউল ইসলাম জানায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে রামচন্দ্রপুর একজন মারা গেছে। লাশ ময়না তদন্তর জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনো কেউ এজাহার দায়ের করেনি। এজাহার দায়ের ও ময়না তদন্তর পর প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।