দীর্ঘ ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাসরি ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, নরসিংদী জেলা শাখা।

শুক্রবার সকাল থেকেই নরসিংদী শহরের চারটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে স্থাপন করা হয় ছাত্রশিবিরের হেল্প ডেস্ক। পরীক্ষার্থীরা যেন নির্ধারিত সিট খুঁজে পেতে সমস্যা না করেন, সে লক্ষ্যে দিকনির্দেশনা, সিট প্ল্যান অনুযায়ী গাইডলাইন এবং সহানুভূতিশীল আচরণের মাধ্যমে সার্বিক সহায়তা প্রদান করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

শুধু এখানেই নয়, পরীক্ষার্থীদের জন্য ছিল ব্যাগ, মোবাইল ও মূল্যবান সামগ্রী রাখার নিরাপদ ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ, কলম ও স্যালাইন বিতরণ—সবকিছুই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং আন্তরিকতার সাথে।

এই মানবিক কার্যক্রমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জেলা সেক্রেটারি তাওহীদুল ইসলাম। নেতৃত্ব দিয়েছেন সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক। সহায়তায় ছিলেন—জেলা, সরকারি কলেজ, পলিটেকনিক, জামেয়া, পৌরসভাসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।

জেলা প্রচার সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম প্রধান বলেন, “এই শিক্ষার্থীরাই আগামী বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। তাই তাদের পাশে দাঁড়ানো শুধু দায়িত্ব নয়—আমাদের গর্ব।”

তিনি দেশের অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোকেও শিক্ষার্থীবান্ধব কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।

উল্লেখযোগ্য উপস্থিতির মধ্যে ছিলেন—
জেলা অর্থ সম্পাদক হাফেজ শাহিন, এইচআরএম সম্পাদক হোসেন ফারুক, সরকারি কলেজ সভাপতি আরিফ মাহমুদ, জামেয়া সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম, আবাসিক সভাপতি *আবু বকর, পৌরসভা সভাপতি হুসাইন আহমাদ, পলিটেকনিক সভাপতি আরিফ বিল্লাহ সহ আরও অনেক কর্মী।

এই মহৎ উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও প্রশংসা কুড়িয়েছে। এক পরীক্ষার্থী বলেন, “ভয়ে ছিলাম ভুল হলে হয়তো পরীক্ষা মিস হয়ে যাবে। কিন্তু শিবির ভাইয়ারা পাশে ছিলেন, তাই সহজেই সিট খুঁজে পেলাম।”

এই কর্মকাণ্ড আবারও প্রমাণ করল—ছাত্র রাজনীতি মানে শুধু মতাদর্শ নয়, মানবিকতা, সহানুভূতি ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রস্তুতিও বটে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির তার ভূমিকায় সে বার্তাই পৌঁছে দিয়েছে শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে।