টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার বহেড়াতৈল রেঞ্জের কচুয়া বিট অফিসার আব্দুল আজিজ মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম,দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তিনি কচুয়া বিটে যোগদান করার পর থেকে ধরাকে সরাজ্ঞান করে আর্থিক বিনিময়ের মাধ্যমে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বৃক্ষ নিধন,বনভূমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ,বনভূমির মাটি কাটা, অবৈধ করাতকল চালনায় সহযোগিতা, বনভূমি বেদখলে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এসব অনিয়ম-দুর্নীতি বাস্তবায়নে প্রধান সেনাপতি হিসাবে কাজ করছে কচুয়া বিট অফিসের বনপ্রহরী শরিফ মিয়া। কচুয়া  বিটাধীন দেবরাজ,দাড়িপাকা,বড়চওনা,ছোটচওনা,খাইলারবাইদ,বানিয়ারসিট,আড়াইপাড়া,সাড়াসিয়া,কাহারতা,সাবেদেরচালা,কচুয়া  বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়,বনপ্রহরী শরিফ মিয়ার সাথে মোটা অংকের টাকার চুক্তি করে বনভূমিতে যা ইচ্ছে তাই করা যায়। বনভূমিকে আবাদী জমি করার জন্য প্রতি শতাংশে ৩হাজার টাকা,ছোট টিনের ঘর নির্মাণে ৩০হাজার টাকা,বড় টিনের ঘর নির্মাণে ৫০/৬০হাজার টাকা,বিল্ডিং নির্মাণে ২/৩লাখ টাকা,বৃক্ষ নিধনে প্রতি বৃক্ষে ৫/১হাজার টাকা,শাল-গজারি কর্তনে প্রতি গাছে এক হাজার টাকা,বনভূমি দখল-মাটি কাটা-পুকুর খননে ৩/৪লাখ টাকা নেওয়া হয়। প্রতিটি অবৈধ করাতকল থেকে মাসিক ৫হাজার টাকা আদায় করে। এ টাকা আদায় করে বনপ্রহরী শরিফ মিয়া। আবার বনের জমি দখল হস্তান্তরে দেড়শত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যম্পের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। বনভূমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও বিট অফিসে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে বনবিভাগের লোকজন বাধা প্রদান করে টাকা দিলে আর বাধা প্রদান করে না। অভিযোগ করলে বলে ওই দাগে পাবলিক রেকর্ডের জমিও আছে বনভূমিও আছে। যেহেতু ডিমারগেশন করা নাই তাই আমরা ওই জমিতে যেতে পারি না।  এ বিষয়ে বনপ্রহরী শরিফ মিয়া বলেন,যে টাকা আদায় করা হয় মাস শেষে সমস্ত টাকা পয়সা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সকলের নিকট ভাগভাটোয়ারা করা হয়। কচুয়া বিট কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ মিয়া বলেন, বন অপরাধ দেখার জন্য আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ রয়েছে,সাংবাদিক পত্রিকায় লিখলে আমার কিছু যায় আসে না।