টাঙ্গাইলের সখিপুরে উপজেলা বিএনপি সভাপতি শাহজাহান সাজুর নির্দেশে পৌর বিএনপি সভাপতি নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে অপর বিএনপি নেতার বাসা, দোকান ভাংচুর করে মালামাল লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আসামী ধরে ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। শুক্রবার দিবাগত (১৩জুন) মধ্যরাতে পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের কলেজ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভূক্তভোগী পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জানান, শনিবার মধ্যরাতে সখিপুর পৌর বিএনপি সভাপতি মো : নাসির উদ্দিন, সহ সভাপতি হাজী আ: গণি ও উপজেলা যুবদল সদস্য সচিব নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে দুই শতাধিক বিএনপি ও অঙ্গ- সংগঠনের নেতা-কর্মী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সখিপুর পৌর বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক আশরাফুল ইসলামের বাসা ও দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসময় পৌর বিএনপি সভাপতি নাসির উদ্দিনের ট্রাক দিয়ে পান্না এন্টার প্রাইজ নামক ব্যটারী চালিত অটো সেলস সার্ভিসের দোকান থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মালামালসহ প্রায় ষাট লক্ষ টাকায় ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে ও আশরাফুলের মোটরসাইকেলটি ভেঙ্গে চুরমার করা হয়েছে বলে জানান ভূক্তভোগী আশরাফুল ইসলাম। তিনি আরো জানান, এবিষয়ে সখিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। সখিপুর থানার এসআই শাহীন এর নেতৃত্বে পুলিশ রাতই ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফালু মিয়া নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করলেও কিছুক্ষন পরই অজ্ঞাত কারণে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সখিপুর সরকারী কলেজ মোড় এলাকায় পাকা সড়কের উত্তর পাশে ৮ শতাংশ জমির উপর নির্মিত বাসা, দোকান ও একটি মোটর সাইকেল ভেঙ্গে তছনছ করা হয়েছে। এঘটনায় রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার দুপুরে সখিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল রনি, সখিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মো: আবুল কালাম ভূইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এপ্রসঙ্গে উপজেলা বিএনপি সভাপতি শাজাহান সাজু বলেন এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না তাকে অযথা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়ানো হয়েছে। পৌর বিএনপি সভাপতি মো: নাসির উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি।কয়েকটি শালিশী বৈঠকে আমি বলেছিলাম যে জমিটি আশরাফের নয় সেকারনে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করছে, এবিষয়ে আমি আর কিছু জানি না। সখিপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘটনার সময় কেউ কি আমাদের দেখেছে? এগুলো সব মিথ্যা কথা। ওই জমিটা হলো আ: সালাম ও জ্যোৎস্না গং দের। সালিশী বৈঠকে বসে দুই পক্ষকে নিয়ে জমিটা মেপে দেখেছি আ: সালাম গংদের ওখানে পাওনার থেকে ১১ শতাংশ জমি কম আছে এবং দখলদার আশরাফুল ইসলাম গংদের কাছে ১৯ শতাংশ জমি বেশী আছে। শালিশী বৈঠকের জুড়ি বোর্ড সিদ্ধান্তে একমত হতে না পারায় বিষয়টি নিয়ে আবার বসার কথা ছিল। সে পর্যন্ত জমিতে কোন পক্ষকে কিছু না করতে বলা হয়েছিল। এপ্রসঙ্গে সখিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।