খেজুর খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে একই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। শুক্রবার বিকেলে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীকে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের গৃহবধূ জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়াশুনা করে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সে বাড়ির পিছনে খেজুর বাগানে যায়। সেখানে আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা একই এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে ও তার মেয়েরই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র আরাফাত তাকে খেজুর দেওয়ার কথা বলে বাগানের মধ্যে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। চলে যাওয়ার আগে একথা কাউকে জানালে খুন করার হুমকি দিয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে বাড়িতে এসে মেয়ে ভয়ে কিছু বলেনি। পরে সন্ধ্যার সময় যৌনাঙ্গে যন্ত্রণা শুরু হলে বিষয়টি তাকে জানায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা আরাফাতকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে তার বাবা ও মায়ের হাতে তুলে দেয়। পরে বাবা তার ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে তিনি বাদি হয়ে আরাফাতের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আরাফাত হোসেনের বাবা মিজানুর রহমান তার ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ রুপা রানী পাল জানান, ওই ছাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, তিনি সাতক্ষীরায় অবস্থান করছেন। কালিগঞ্জে ফিরে মামলার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।