নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মোঃ জামাল হোসেন (৩৯) নামের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মোঃ জামাল হোসেন (৩৯) নামের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা একটি সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে থানা সূত্র।

ভুক্তভোগী জামাল হোসেন জানান, তিনি বাংলালিংক কোম্পানির এসএমই বিভাগে ইএসও পদে কর্মরত। পেশাগত কারণে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় কর্পোরেট সিম বিক্রি করে থাকেন।

গত ১২ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ০১৯৮১-৯৯৪১১৩ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে তিনি চিটাগাং রোড এলাকায় যান। সেখানে তুষার মিয়া (২৪) নামের একজনের সঙ্গে দেখা হয়। কথাবার্তার একপর্যায়ে তাকে শিমরাইলের কাশশাফ মার্কেট এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে আনু মিয়া (৩৬), তুষার মিয়া ও আরও কয়েকজন মিলে তাকে প্রাইভেটকারে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায় সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় একটি ভাঙ্গা বাড়িতে।

সেখানে তাকে আটকে রেখে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে অপহরণকারীরা তাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে প্রাণভয়ে জামাল হোসেন তার পরিচিত আজাহার নামের একজনের সহায়তায় বিকাশের মাধ্যমে মোট ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে অপহরণকারীদের প্রদান করেন। এছাড়া তার মানিব্যাগ থেকে আরও ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

এরপর অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দেয় এবং হুমকি দেয় যে, ঘটনাটি জানাজানি হলে প্রাণে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে।

ঘটনার চার দিন পর, ১৬ জুন দুপুরে আবারও জামাল হোসেনকে ফোন করে বাকি টাকা আনতে বলা হয়। এরপর তিনি বিষয়টি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জানালে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জপুল এলাকা থেকে আনু মিয়া ও তুষার মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে এবং জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্র, যারা চট্টগ্রাম রোড ও আশপাশের এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে থাকে।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহীন জানান, একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপহরণ চক্রের সদস্যদের অবশিষ্ট আসামিদের ধরার অভিযান অব্যাহত। তারা সক্রিয় সঙ্গবদ্ধ অপহরণ চক্র। দীর্ঘদিন যাবত অপহরণ কাজে নিয়োজিত।  বাকি সদস্যদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।