শুক্রবার (১৮ জুলাই ২০২৫) সকালে শহরের মালশাপাড়া পৌর কবরস্থান প্রাঙনে মরহুম মির্জা মোরাদুজ্জামান স্মৃতি সংসদের আয়োজনে মরহুমের কবর জিয়ারত কোরআন খানি ও আলোচনা, সভা দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিলন ইসলাম খানের সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভা সভাপতিত্ব করেন মরহুম মির্জা মোরাদুজ্জামান স্মৃতি সংসদের সদস্য সচিব মোঃ আক্তারুজ্জামান।
আলোচনা সভায় শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মরহুমের জ্যেষ্ঠপুত্র মির্জা মোস্তফা জামান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মরহুম মির্জা মোরাদুজ্জামানএর কর্ম ও জীবনের উপরে তাৎপর্য মূলক বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান দুলাল। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, ডাঃ আব্দুল লতিফ, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র এডভোকেট মোকাদ্দেস আলী,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সহকারি সেক্রেটারি অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, জেলা বিএনপি উপদেষ্টা নিয়ামুল হাকীম সাজু, জেলা ছাত্র দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসলাম উদ্দীন, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম ইন্না,জেলা জাসদের আহবায়ক নব কুমার, জেলা বিএনপি নির্বাহী সদস্য আক্কাস তালুকদার, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ নাজমুল ইসলাম, জেলা ছাএ দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাকিব রহমতুল্লাহ রাফি প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে
দোয়া পরিচালনা করেন সিরাজগঞ্জ পৌর মালসাপাড়া কবরস্থান জামে মসজিদের পেশ ইমামও খতিব হাফেজ মাওলানা জুবায়ের হোসেন। বাদ জুম্মাঃ- মালশাপাড়া পৌর কবরস্থান মাদ্রাসার এতিম বাচ্চাদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ। বাদ আছর মরহুমের নিজগ্রাম ধানবান্ধি বি,এল স্কুল সড়ক জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য ঃ সিরাজগঞ্জ সদর থানাধীন কাওয়াকোলা ইউনিয়নের অন্তর্গত কুড়িপাড়া গ্রামে ১৯৩৯ সালের ১১ই মার্চে এক সম্রান্ত কৃষক পরিবারে মির্জা মোরাদুজ্জামান জন্ম গ্রহন করেন। পিতা মির্জা জহিরউদ্দিন ছিলেন তদানিন্তন কংগ্রেস আন্দোলনের একজন স্থানীয় কৃষক নেতা। মির্জা মোরাদুজ্জামান সিরাজগঞ্জ মুসলিম হাই স্কুলে ছাত্রাবস্থায় প্রত্যক্ষ রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। ৫২’র ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই রাজনীতিতে সক্রিয়তা বেড়ে ওঠে। তিনি ছাত্র জীবনে তৎকালীন ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ইউনিয়ন থেকে ১৯৫৭ সালে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন। সিরাজগঞ্জ তৎকালীন মহকুমা ন্যাপের সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিড়ি-শ্রমিক সংগঠন ও রিক্সা-টমটম গাড়ি শ্রমিকদের সংগঠিত করে ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করেন এবং উক্ত ২টি সংগঠনের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এভাবে মির্জা মোরাদুজ্জামান শ্রমিক নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হন। তিনি ছিলেন সৎ, দায়িত্ববান এবং নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি আর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় বিশ্বাসী ছিলেন।
তিনি শহীদ জিয়াউর রহমানের নির্দেশনায় শহরের তরুন যুবক ও সকল শ্রেণি পেশার মানুষদের সাথে নিয়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠা কালিণ সময়ে অগ্রণী ভুমিকা পালন করায় তিনি সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হন এবং আমৃত্যু তিনি শহীদ জিয়ার আদর্শের লড়াকু সৈনিক হিসেবে কাজ করে গেছেন।