সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে গণসমাবেশ করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ দিরাই উপজেলা শাখা। রবিবার (১৫ জুন)  বিকেল ২টা থেকে দিরাই থানা পয়েন্টে এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

দিরাই উপজেলা জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দীন কাসেমীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী। 
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জমিয়তের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি খতীবে বাঙ্গাল মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে জমিয়তের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা ড. শোয়াইব আহমদ।

আজকের গণসমাবেশের রূপকার দিরাই উপজেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুখতার হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবিদুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক শরিফপুরীর যৌথ সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, দলের সহ-সভাপতি মাওলানা শায়খ আব্দুল বছীর, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মুফতি  কেফায়াত উল্লাহ আযহারী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা জয়নুল আবেদীন।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আখতারুজ্জামান তালুকদার, হাফিজ মাওলানা ত্বাহা হোসাইন, ওবায়দুল হক চৌধুরী, সুহাইল আহমদ ইয়াহ্ইয়া, জিয়াউল করীমসহ জেলা, উপজেলা জমিয়ত, যুব জমিয়ত ও ছাত্র জমিয়ত নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় জমিয়তের সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী বলেন,দেশে অনেক লুটপাট হয়েছে। চুরি,ডাকাতি হয়েছে। খুন-খারাবি হয়েছে। সন্ত্রাসী সৃষ্টি করা হয়েছে। এই ধারা সামনে আর দেখতে চাইনা।
নির্বাচনের তারিখ মোটামুটি জাতির সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। যথা সময়ে যাতে নির্বাচন হয়,এই নির্বাচন নিয়ে আর যেন কোনো টালবাহানা না হয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলবে এবং সংস্কার কাজ চলমান থাকবে। আমরা জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহন করতে চাই। 
তিনি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)  এর একটি হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন,' নবীজি বলেছেন, যে ব্যক্তি মারা গেল,তার সম্পদ রেখে গেলো, তার এই সম্পদের মালিক হচ্ছে, তার ওয়ারিশান,তার আত্মীয় স্বজন। 
আর যদি সে মারা যাওয়ার পর ঋণ রেখে যায়,তাহলে এই ঋণ পরিশোধ করার দায়িত্ব হচ্ছে ইসলামী রাস্ট্রের। তার যদি বিধবা স্ত্রী থাকে,বৃদ্ধ মা-বাবা  থাকে, তাহলে তাদের সকল ভরণপোষণ, তাদের চিকিৎসা সেবা সহ শিক্ষা দিক্ষার দায়িত্ব  ইসলামী রাস্ট্রের।
কাজেই আমার দেশে যে টাকা লুটপাট হয়েছে, সেই লুটপাটের টাকা আমরা ফিরিয়ে আনবো।এবং অর্থ দেশের হতদরিদ্র জনগণের জন্য ব্যয় করব।