দোয়ারাবাজারের ঘটনায় আটককৃতরা হলো— উপজেলার পেকপাড়া গ্রামের সমশের আলীর ছেলে খোকন মিয়া (৩২) ও মো: লিচু মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া (২৭)। তাহিরপুরের ঘটনায় আটককৃতরা হলো— উপজেলার লাউড়েরগড় গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিরে ছেলে মো: আলী (২৫), সাহিদাবাদ গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে মো: আজবিরুল ইসলাম (২৫) ও লাউড়েরগড় গ্রামের মোস্ত মিয়ার ছেলে মো. কাজী মিয়া (৩০)।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মার্চ ভোরে দোয়ারাবাজার উপজেলার মোকামছড়া এলাকায় ২৮ বিজিবির পেকপাড়া বিওপির একটি টহল দল ভারত থেকে গরু নিয়ে আসার সময়ে একদল চোরাকারবারীকে চ্যালেঞ্জ করে। এসময় চোরাকারবারিরা সংঘবদ্ধ হয়ে ইট—পাটকেল, বাঁশের লাঠি, হাসুয়া ও চাকু দিয়ে টহলদলের ওপর হামলা চালায়। এতে বিজিবির কয়েকজন সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় দোয়ারাবাজার থানায় আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে বিজিবি (মামলা নম্বর—২৪/৭২, তারিখ ২৪ মার্চ ২০২৫)। ১২ আগস্ট মামলার ৫ ও ৭ নম্বর আসামীকে বিজিবির সহায়তায় পুলিশ আটক করে।
অপরদিকে গত ৬ আগস্ট ভোরে তাহিরপুর উপজেলার লাউরগড় এলাকায় লাউড়েরগড় বিওপির একটি টহল দল চোরাচালানী মালামাল নিয়ে আসা একদল চোরাকারবারীকে থামতে বললে চোরাকারবারিরা পাথর নিক্ষেপ করে টহল কমান্ডারসহ সদস্যদের আহত করে এবং বিজিবির একটি স্পিডবোট ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ ঘটনায় তাহিরপুর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা করে বিজিবি (মামলা নম্বর—০৬, তারিখ ০৬ আগস্ট ২০২৫)। গত ১২ আগস্ট বিজিবির সহায়তায় মামলার ২, ৩ ও ৪ নম্বর আসামীকে পুলিশ আটক করেছে।
সুনামগঞ্জ—২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর দুষ্কৃতিকারীদের হামলা বেড়েছে। তবে এসব ঘটনায় মামলা ও গ্রেপ্তারের ফলে চোরাকারবারী ও দুষ্কৃতিকারীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, চোরাচালান বন্ধে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি তৎপর রয়েছে।