সোনাইমুড়ী পৌরসভা গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় ৭নং ওয়ার্ডের বরলা গ্রামের সাহেবজাদা পোল হতে বন্দেআলী মিয়া বাড়ি পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা মাটি দ্বারা সংস্কারে কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও সরজমিনে তার সত্যতা মিলেনি।

সোমবার (২০ মে) সরেজমিনে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বরলা গ্রামে গেলে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা নেই বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। গত ২ দিন থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ও নিউজের মাধ্যমে সড়কটির অনিয়মের বিষয়ে একধরণের ভ্রান্ত তথ্য ছড়ানো হয়ছে। এ বিষয় আজ গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের একটি টিম অনুসন্ধানে গেলে অভিযোগকৃত তথ্যের সাথে কোনো মিল খুঁজে পায়নি। 

হারিছ আহমেদ নামে ৭ নং ওয়ার্ডের এক স্থায়ী বাসিন্দা বলেন এমন অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। গত ১৫ বছর আমাদের এই সড়কটি অবহেলিত ছিলো।আমরা অনেক বেশি খুশি হয়েছি এ সড়কটির কাজ হওয়াতে। সড়কটি সংস্কার হওয়াতে গ্রামের মানুষের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে। বরলা গ্রামের আরেক বাসিন্দা আক্কাস  মিয়া জানায় এই সড়কটি আমাদের গ্রামের সাথে পাশ্ববর্তী গ্রাম গুলো মিলবন্ধন তৈরি করে। তবে সড়কটির বাজে অবস্থার জন্য আমরা এতদিন ঠিক ভাবে যাতায়েত করতে পারতাম না। পৌর প্রশাসকের কাছে কৃতজ্ঞ যে গত ১৫ বছরের অবহেলিত রাস্তাটি উনি সংস্কারের পদক্ষেপ নিয়েছে।
বরলা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মনির আহমেদ সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কাজটি সম্পন্ন করেছি।

সোনাইমুড়ী পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল  আজিম জানায় অনিয়মের বিষয় আমি অবগত নই। দেড় কিলোমিটার রাস্তা মাটি দ্বারা মেরামত করতে যেখানে প্রায় দশ লক্ষ টাকা প্রয়োজন সেখানে আমরা পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিতে পারিনি। মাত্র তিন লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা যেখানে  যেখানে প্রয়োজন তা মেরামত করার জন্য। আমি নিজে গিয়ে দেখেছি কাজ তদারকি করে ভালোভাবে সম্পন্ন করেছি।

সোনাইমুড়ি উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ও ৭ নং ওয়ার্ড দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর এবং উক্ত (টিআর) প্রকল্পের সভাপতি ইমদাদুল হক জানায়,এই সড়কটিতে কোনো প্রকার অনিয়ম হয়নি। নিয়ম মেনে নির্দেশনা অনুযায়ী সড়কটি সংস্কার কাজ করা হয়েছে। অনিয়মের অভিযোগটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত কিনা আমরা তা তদন্ত করে দেখবো। 

সোনাইমুড়ি পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছরিন আকতার জানায়, আমি নিজে স্পটে ২ বার গিয়েছি। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। কাজে কোনো ধরণের অনিয়ম আমাদের চোখে ধরা পড়েনি।