দেশের বৃহত্তর শিল্পাঞ্চল গাজীপুরে বসবাসকারী বিভিন্ন শিল্প কারখানায় কর্মরত ২০ লক্ষাধিক শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে অতন্ত্য ১০ লক্ষাধিক শ্রমজীবী মানুষেরা কোন রকমের ভোগান্তি ও দুর্ভোগ ছাড়াই সড়ক ও রেলপথে নারীর টানে বাড়ি ফিরছেন বলে জানিয়েছেন শিল্পাঞ্চল পুলিশ ও জেলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
শনিবার ( ২৯ মার্চ) সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার সড়ক পথের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল নামার পাশাপাশি সড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ।

গাড়র সংখ্যা বেড়ে কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় ভোগড়া বাইপাস থেকে চান্দনা,চৌরাস্তা,টঙ্গী, গাজীপুর,চেরাগ আলী,সালনা,পোড়াবাড়ি মাস্টারবাড়ি,রাজেন্দ্রপুর,হোতাপাড়া,ভবানীপুর, বাঘেরবাজার, গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি,আনসার রোড, মাওনা চৌরাস্তা পল্লী বিদ্যুৎ মোড়, এমসি বাজার,নয়নপুর বাজার ও জৈনাবাজার মোড়গুলোতে মাঝে মধ্যেই যানবাহনের চলাচলে ধীরগতি দেখা গেছে। তবে কোন যানজটের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়নি।
একই সঙ্গে এ মহাসড়কের প্রতিটি মোড়ে-মোড়ে যাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত দুরপাল্লার বাস ও গণপরিবহনের অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

অপর দকে গাজীপুরের আরেক গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘোরে দেখা গেছে,ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় যাত্রীদের ঢল নেমেছে।এ সুযোগে গণপরিবহনের চাকলরা যাত্রীদের কাছ থেকে  ভাড়া বেশি নেওয়ার ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাইক্রোবাস,ট্রাক, মোটরসাইকেল ও পিকআপ যুগে বাড়ি যাচ্ছেন শ্রমজীবী যাত্রীরা।
এ দিকে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে,স্টেশনে কোন গেঁদারিং নেই, নির্ধারিত সময়ে ট্রেন আসলে যাত্রীরা কোন রকমের ভোগান্তি ও দুর্ভোগ ছাড়াই ট্রেনে উঠতে পারছেন। একই সঙ্গে কোন টিকিট কালোবাজারির তথ্যও পাওয়া যায়নি।
সরেজমিনে,সড়ক পথে উত্তরবঙ্গের ট্রানজিট পয়েন্ট খ্যাত বাস কাউন্টার গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় রংপুর অভিমুখী যাত্রী তামান্না পারভীন বলেন,রাস্তায় যানজট নেই,তবে বাসমালিকদের স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে ৫০ টাকা বেশি দেওয়া হলেও সুপার ভাইজারেরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন।তিনি আরও বলেন,এ ভাবে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে আমাদের হয়রানি হতে হয়।
এ বিষয়ে নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ রইছ উদ্দিন জানান, ভাড়া বেশি নেওয়ার সু-নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন,হাইওয়ে পুলিশ সব সময় যাত্রীদের হয়রানি রোধে কাজ করছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী উপকমিশনার আশোক কুমার পাল বলেন,শনিবার ভোর থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষ ও গাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকে। এদিন সকাল ৭টা থেকে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীর স্টেশনরোড, গাজীপুরা, বড়বাড়ি, মালেকের বাড়ি, ভোগড়া বাইপাস মোড়, চান্দনা চৌরাস্তা মোড় ও এর আশপাশের অংশ, তেলিপাড়া এলাকায় ঘরমুখো মানুষ ও গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন,তবে এসব পয়েন্টে গাড়ি থামিয়ে লোকজন উঠানোর কারণে মাঝেমধ্যেই জটলা তৈরি হচ্ছে, যানবাহন ধীরে গতিতে চললেও কোন যানজটের ভোগান্তি নেই।