ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু পৌর মহিলা দলের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু পৌর মহিলা দলের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬শে এপ্রিল) বেলা ১১টায় হরিণাকুণ্ডু শহরের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে পৌর এলাকার সহস্রাধিক নারী নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। পৌর মহিলা দলের আহ্বায়ক রেহেনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ। সঞ্চালনা করেন পৌর মহিলা দলের সদস্য সচিব মোছাঃ মর্জিনা আক্তার রিতু। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা মহিলা দলের সভাপতি অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার লিজি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক তহুরা খাতুন, হরিণাকুণ্ডু উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক তাইজাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মমিন, পৌর বিএনপির সভাপতি জিন্নাতুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম নজির। এছাড়াও সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক সাকিব আহমেদ বাপ্পি, হরিণাকুণ্ডু পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম টোটনসহ আরও অনেকে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ বলেন, হাজারো ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। যারা ফ্যাসিস্টের দোসর হয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের কোনো সুযোগ দেবে না এ দেশের জনগণ। সম্মেলন শেষে সংগঠনকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানালেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ইমতিয়াজ আহমেদ, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাব-রেজিস্ট্রার মোজাম্মেল হকের পরিবার। শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তাঁর স্ত্রী নাজনীন খাতুন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, হরিণাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ধুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোজাম্মেল হককে নিয়ে কিছু স্থানীয় পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গত ২০ এপ্রিল স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের দোকানে সামাজিক ও ধর্মীয় বিষয়ে আলোচনা করার পর ২১ এপ্রিল সন্ধ্যায় তাঁর স্বামীর ওপর হামলা চালানো হয়। পরে জোরপূর্বক একটি গোডাউনে নিয়ে গিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তির মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করে ভিডিও ধারণ করা হয়। নাজনীন খাতুন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেলে সন্ত্রাসীরা কোনো লিখিত অভিযোগ দিতে না পারায় পুলিশ মোজাম্মেল হককে মুক্ত করে। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও গ্রাম্য রাজনীতির কারণে এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব ও মিথ্যা খবরের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চত করতে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আলিম ডাক্তার ও বিষু ডাক্তার নামে দুই পল্লী চিকিৎসক, যারা ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন এবং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। নাজনীন খাতুন তাঁর বক্তব্যে দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।