পবিত্র রমজানে কমদামে নিম্ন আয়ের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস এবং উপজেলা কৃষি অফিস, হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ এর আয়োজনে মাসব্যাপী সুলভমূল্যের হাট-এর উদ্বোধন করা হয়েছে।

পবিত্র রমজানে কমদামে নিম্ন আয়ের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস এবং উপজেলা কৃষি অফিস, হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ এর আয়োজনে মাসব্যাপী সুলভমূল্যের হাট-এর উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (৭মার্চ) থেকে উপজেলার জয়িতা (মহিলা মার্কেট) চত্বরে বাজারের নিয়মিত দামের তুলনায় কম মূল্যে গরুর মাংস, ডিম, মাছ ও সবজি বিক্রয় শুরু করা হয়েছে। সেখানে সপ্তাহে ২ দিন প্রায় তিন থেকে চারশত জন নিম্ন আয়ের মানুষ ১কেজি করে গরুর মাংস ও ১ডজন করে ডিম কিনতে পারবেন। তবে মাংস ও ডিমের দাম আরও কিছু কমানোর দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা। পুরো রমজান মাসজুড়ে চলবে এই কার্যক্রম।  মাসব্যাপী সুলভমূল্যের হাট উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আলীনূর খান। জানা যায় প্রতি সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার সুলভমূল্যে গরুর মাংস ও ডিম বিক্রয় করা হবে। গরুর মাংস ৬৫০ টাকায় ১কেজি করে কিনতে পারবেন ১জন ক্রেতা, আর ডিম ১১০ টাকায় ডজন কিনতে পারবেন একজন ক্রেতা। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ১কেজি গরুর মাংস ও ১ডজন ডিম কিনতে পারবেন।  হাট ঘুরে দেখা যায় শুরুর দিকে ক্রেতার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে ক্রেতাদের ভীড়। লাইনে দাড়িয়ে সাড়িবদ্ধভাবে মনের আনন্দে সুলভমূল্যের হাটে পণ্য ক্রয় করছেন ক্রেতারা। বাজারে গরুর মাংসের নিয়মিত মূল্য ৭৫০ টাকা তবে সুলভমূল্যের হাটে ১০০ টাকা কম। বাজারে ডিম প্রতি ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা হলেও সুলভমূল্যের হাটে ৩৫-৪০ টাকা কমে বিক্রয় হচ্ছে।  জান্নাতুল ফেরদৌস মিনি নামের এক নারী ক্রেতা বলেন আমরা কম মূল্যে ডিম মাংস পাচ্ছি তাতে সকলের একটু ভালো খাওয়ার সুযোগ হলো, তাই উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই সেই সাথে যে সকল পণ্যের মূল্য বাজারে উর্ধ্বগতি যেমন, তেল, চাল, চিনি, সেমাই সেগুলোও যদি প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা সুলভমূল্যে কিনতে পারতাম তাহলে আমাদের কোন ভোগান্তি থাকত না।  হুমায়ুন কবির নামে স্থানীয় এক ক্রেতা বলেন আমরা কম মূল্যে ডিম ও মাংস খেতে পারতেছি এইটা আমাদের জন্য ভাগ্যের ব্যাপার, রিযিকের মালিক আল্লাহ, কিন্তু প্রশাসনের উদ্দ্যোগে কম দামে মাংস খেতে পাচ্ছি তাই প্রশাসনকে ধন্যবাদ। তবে প্রশাসনের উদ্দ্যোগে যদি সারাবছর এইরকম সুলভমূল্যের হাটের ব্যবস্থা হতো তাহলে দেশে সিন্ডিকেট বলে কিছু থাকত না। প্রান্তিক কৃষক থেকে সরাসরি ভোক্তার নিকট পণ্য পৌছে দিতে পারলে সকল সিন্ডিকেট ভেস্তে যেত।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আলীনূর খান বলেন, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তি লাঘবে বাজার থেকে কিছুটা কমমূল্যে গরুর মাংস ও ডিম কেনার সুযোগ দিতেই এই উদ্যোগ। চাহিদানুযায়ী আরও পণ্য বৃদ্ধি করা হবে। মাসব্যাপী এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।