২০২৫-২৬ অর্থ বছরের ব্যায় নির্বাহের জন্য এবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ২২২ কোটি টাকা। যা চলতি বছরের চেয়ে দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি।
এদিকে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যেই হওয়ার কথা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রকাশ ছাড়া উচ্চ পর্যায়ের কমিটির তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ দৃশ্যত হয়নি। গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজ কে সম্মানজনক পৃথকৃকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয় গত ২৪ এপ্রিল এবং ঢাবি কতৃপক্ষ ইউজিসিকে চিঠির মাধ্যমে জানায় চলতি বছর থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষা নেবে না ঢাবি। তারা আরো ৭ টি সুপারিশ করে ইউজিসিকে সাত কলেজ বিষয়ে এতে উল্লেখ করে ইউজিসির পরিকল্পিত ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় অথবা অন্য কোনো কাঠামোতে সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার।
এরপর থেকে অভিবাবক শূন্য হয়ে পড়েছে সাত কলেজ। জরুরি ভিত্তিতে অর্ন্তবর্তী প্রশাসন গঠনের কথা থাকলেও নানা তালবাহা ও লাল ফিতার দৌড়াত্বে ফাইল বন্দী হয়ে আছে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে এমনটাই জানা যায় শিক্ষারর্থীদের কাছ থেকে। এতে প্রায় দেড় লক্ষ শিক্ষার্থীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ এর জন্ম নিয়েছে। যখন তখন আসতে পারে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষনা এমত অবস্থায় গত ১৬ তারিখ ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রুপান্তর আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, তার সাথে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বর্তমান পরিকল্পানা মন্ত্রী ওয়াহেদউদ্দীন মাহমুদ চৌধুরীর ফোন আলাপ হয়েছে এতে সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন ইতি মধ্যে সাত কলেজের অর্ন্তবর্তী প্রশাসন জনপ্রশাসন মন্ত্রানালয় থেকে অনুমোদন হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে গিয়েছে খুব তারাতারি প্রজ্ঞাপন হবে।
জানা গেছে আজ ১৭ই মে বিকাল ৪ টায় শিক্ষার্থীরা প্রেস ব্রিফিং করবেন ইডেন মহিলা কলেজের ১ নং গেইটে। সেখানে তারা সরকারের কাছে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব শিগগিরই রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে অধ্যাদেশ জারির সময় বেধে দিবে ও ২০২৫-২৬ বছরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে অর্ন্তভূক্ত করার দাবি জানাবে।