‎আধুনিকতার ছোঁয়ায়, শ্রমিকদের রংতুলির আচঁড়েে, নতুনরুপে, মনোমুগ্ধকর সাঁজে সাজানো হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরীত উল্লাপাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহি ঘাটিনা ব্রিজ।

জানা যায়,৭১এ-মহান মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহনকরা এবং জেলার শুশিক্ষায় শিক্ষিত অধিকাংশ মানুষের বসবাস উল্লাপাড়া উপজেলার ঘাটিনা শাহজাহানপুর গ্রামে। ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,শিক্ষকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বসতবাড়ি রয়েছে এই গ্রামে।

‎১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সিরাজগঞ্জ জেলায় সর্বপ্রথম মুক্তিকামী স্থানীয় গেরিলা মুক্তি  বাহিনীর প্রতিরোধ সংঘটিত হয় এই ঘাটিনা ব্রিজে।

‎পাকিস্তানের প্রশিক্ষিত পাকহানাদার বাহিনী এদেশীয় মুক্তিকামী গুটিকয়েক গেরিলা মুক্তি যোদ্ধা ও স্থানীয় তরুনদের তোপের মুখে নামমাত্র গুটিকয়েক অস্রের ঝনঝনানিতে তাৎক্ষণিকভাবে পিছু হটতে বাধ্য হয়।

‎ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহনকারী এই শাহজাহানপুর, ঘাটিনা,পঞ্চক্রোশি,সলপ,মাটিকোরা,শেখপাড়া,

কৃষকগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় সকল শ্রেণি পেশার মানুষদের উপজেলা সদরে প্রশাসনিক কাজকর্ম,লেখাপড়া,বাজার-সদাই মালামাল পরিবহন সহ দৈনন্দিন কাজে যোগাযোগ বা যাতায়াতের জন্য এই ঘাটিনা শাহজাহানপুর গ্রামের বুকচিরে বয়ে চলা ফুলজোর নদী পারাপারের জন্য খেয়া নৌকাই ছিল একমাত্র ভরসা। ঝড়-ঝাপটা বা বৈরি আবহাওয়ায় অনেক সময় ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে নদীপাড় হতে হতো। নদী পাড়াপাড়ে নানা সমস্যার বিষয় উল্লেখ করে প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্থানীয়দের

‎জোড়ালো দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে বহুপ্রতিক্ষার পর

‎বিগত আওয়ামিলীগ সরকার আমলে ফুলজোর নদীর উপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)'র তত্বাবধানে একটি ব্রিজ নির্মীত হয়।

‎এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় সিরাজগঞ্জ জেলা সদর বা উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করাসহ মালামাল পরিবহন সহজ ও কষ্ট লাঘব হয়।

‎মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহনকরা

‎স্মৃতিবিজরীত ঘাটিনা গ্রামটি দেখতে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আগত দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে এই ঘাটিনা ব্রিজ এলাকায়।এরপর সড়কের রিপিয়ারিং উন্নয়ন কাজ ও ব্রিজের রংকাজ করনের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)'দরপত্র আহবান করে।

‎স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)'র

‎সিরাজগঞ্জএর সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী

‎মোঃ ইসমাইল হোসেন বলেন,

‎গত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)'র দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে মেসার্স সুপ্তি ট্রেডাসের সত্বাধিকারী মোঃ লুৎফর রহমান ১ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে উল্লাপাড়া উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এর তত্বাবধানে ৩৬ মিটার সড়ক মেরামত কাজ এবং ব্রিজের সৌন্দর্য বর্ধনে রংএর কাজ সম্পন্ন করে।

‎সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নাবিল কালার হাউজের সত্বাধিকারী মোঃ রবিউল আলম রবির নেতৃত্বে রংকাজে নিয়োজিত সুদক্ষ শ্রমিকদের নিপুণ হাতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় রংতুলির আচঁড়ে

‎অপরুপ সাঁজে সাজানো হয়েছে এই ঘাটিনা ব্রিজটি। প্রতিদিনই বহুদূর দূরন্ত থেকে পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে এখানে।

‎মহান মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস ও স্মৃতিবিজরীত ঘাটিনা গ্রাম ও ব্রিজ দেখতে আসা দর্শনার্থী সোহেল রানা, আবুজর রহমান,সোনেকা খাতুনসহ স্থানীয় জনসাধারণ সকালেই আধুনিকতার ছোঁয়ায় অপরুপ সাঁজে সাজানো কাজের প্রশংসা করেন।