চঞ্চল আরও লেখেন, ‘শুদ্ধর যথেষ্ট ইচ্ছা আছে অভিনয়ের। শুধু ইচ্ছায় তো আর কাজ হবে না। আগে তো শুটিং দেখতে হবে, এরপর অভিনয়টা শিখতে হবে, তারপর তো অভিনয়।’

দেশের অভিনয় জগতে অন্যতম ভরসার নাম চঞ্চল চৌধুরী। নাটক, সিনেমা বা ওয়েব কনটেন্টের ভিন্ন রকম চরিত্র হলেই চঞ্চলের কথা ভাবেন পরিচালক-প্রযোজকরা। চঞ্চলের করা চরিত্রগুলো তারই প্রমাণ দেয়।

এমন একজন অভিনেতার সন্তান অভিনয় করতে চাইলে হয়তো অনেকেই কাজে নেবেন, কিন্তু চঞ্চল তা চান না। তিনি মনে করেন, চঞ্চল চৌধুরীর ছেলে বলেই যে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েই খুব সহজে অভিনেতা হয়ে যাবে, ব্যাপারটা এ রকম নয়।

অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর একমাত্র ছেলেসন্তান শুদ্ধ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই বাবা-ছেলেকে দেখা যায় একসঙ্গে।

শুদ্ধর অভিনয়ে অভিষেক হয়েছে সম্প্রতি। নাটকে অভিনয় করতে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিল সে।

শুটিংয়ে শুদ্ধ ও তার সহশিল্পীদের একটি ছবি পোস্ট করে চঞ্চল কিছু কথা লিখেছেন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে।

শুদ্ধ শুটিংয়ে অংশ করা একদমই অপরিকল্পিত বলে জানান চঞ্চল। ছোট চার-পাঁচটি সংলাপের ছোট্ট একটা সিকোয়েন্স করেছে সে। দৃশ্যটিতে শুদ্ধর সহশিল্পী দিব্য-সৌম্য।

চঞ্চল আরও লেখেন, ‘শুদ্ধর যথেষ্ট ইচ্ছা আছে অভিনয়ের। শুধু ইচ্ছায় তো আর কাজ হবে না। আগে তো শুটিং দেখতে হবে, এরপর অভিনয়টা শিখতে হবে, তারপর তো অভিনয়।’

চঞ্চল খুব জোর দিয়ে লেখেন, ‘চঞ্চল চৌধুরীর ছেলে বলেই যে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েই খুব সহজে অভিনেতা হয়ে যাবে, ব্যাপারটা এ রকম নয়। তবে ওর দেখাটা শুরু হলো।’

শুদ্ধর বয়স এখন ১২ বছর, বাংলা মাধ্যমে ক্লাস সিক্সে পড়ে। যদি শুদ্ধর যোগ্যতা ও নিয়তি তাকে ক্যামেরার সামনে নিয়ে আসে, তখন হয়তো এই ছবিগুলোই ইতিহাস হয়ে যাবে বলে মনে করেন চঞ্চল।

শুদ্ধকে সবাই আশীর্বাদ করলেই খুশি চঞ্চল। শুদ্ধ যে নাটকটিতে অভিনয় করেছে তার সুশীল ফেমেলি; লিখেছেন বৃন্দাবন দাস, পরিচালক দীপু হাজরা। নাটকটি প্রচার হবে গাজী টিভিতে।

চঞ্চল লেখেন, ‘শুদ্ধর জাস্ট প্রথম টিভি ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো। ব্যাপারটা আহামরি কিছু না। গিয়েছিল পুবাইলে এবারের ঈদের নাটকের শুটিং দেখতে। সঙ্গে ওর মাও ছিল।’