এর আগের দিন ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এমন খবরে নির্বাহী আদেশে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট থেকে দেশে দেশব্যাপী অনিদৃষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেন। কারফিউ ভেঙে মুক্তির নেশায় ওইদিন রাজপথে নেমে আসে লাখো জনতা। এরপর আড়াইটার দিকে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন তিনি। এ সময় তিনি তার ছোট বোন শেখ রেহানাকেও সঙ্গে নিয়ে যান।
এর আগে চীন সফর শেষে গত ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘অনেকেই বলেছে প্রধানমন্ত্রী পালিয়েছে, শেখ হাসিনা পালায় না।’ এরপর গত ১ আগস্টও রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে না যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।
এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শেখ হাসিনাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, ‘তীব্র গণজোয়ার শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না’-বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না, পালিয়ে যায়নিও কখনও।’ তবে, সেই কথা, সেই আশ্বাস আজ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় হতবাক আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতারাও।