গতকাল ১৮ জুলাই শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা আয়োজিত “জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা এবং আহত বীরদের সম্মাননা” অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা এর আজীবন সদস্য ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ডঃ এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে জুলাই বিপ্লব সবচেয়ে ইনক্লুসিভ ও বিস্তৃত আন্দোলন।

তিনি বলেন,আমরা বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন দেখেছি, পাকিস্তানের বৈষম্য দেখেছি, ’৭১-এর স্বাধীনতার যুদ্ধ ও ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থান প্রত্যক্ষ করেছি—কিন্তু ২৪ জুলাইয়ের যে গণআন্দোলন এবং ৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা ৩৬ দিনের বিপ্লব, সেটি সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে অন্য সব আন্দোলনকে ছাপিয়ে গেছে।

তিনি শহীদ আবু সাইদের বীরত্বপূর্ণ আত্মত্যাগ স্মরণ করে বলেন, আবু সাইদ বুক পেতে গুলির সামনে দাঁড়িয়ে গোটা জাতিকে এই বার্তা দিয়ে গেছেন—আমরা জীবনকে ভয় করি না, জনগণের অধিকার রক্ষার লড়াই থেকে পিছিয়ে যাব না।”
চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা এর আজীবন সদস্য এডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা অধ্যাপক মামুনুল হক।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ হুম্মাম কাদের চৌধুরী, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট আবদুল মোমেন চৌধুরী।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা অধ্যাপক মামুনুল হক।

সভায় বক্তব্য রাখেন, জুলাই বিপ্লবে গুলিবিদ্ধ ও কারাবরণকারী ছাত্রনেতা মোহাম্মদ সায়েম। তিনি অভিযোগ করেন,শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এই সভা বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা হয়েছে। অনুষ্ঠানের মূল ভেন্যু ছিল চট্টগ্রাম সমিতির অডিটোরিয়াম, কিন্তু প্রশাসন আমাদেরকে  বাধা দিয়েছে । এটা শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি।”

আয়োজনে আরো উপস্থিতিতে ছিলেন:
চট্টগ্রাম সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিএনপি নেতা নাসির উদ্দীন মিজান, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়ক মোঃ মোস্তফা আল ইহযায, এডভোকেট নাজিম উদ্দীন, এম এ হাসেম রাজু সহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা ২৪ জুলাইয়ের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, এই বিপ্লবের চেতনা গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামে অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকবে।