ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর এবং মাদক ব্যবসায়ী রিমন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অতর্কিত এই হামলা চালায়। এই হামলায় আহত হয়েছেন শাকিল হোসেন সহ তার নিজ ছোট ভাই সজীব হোসেন।
পরে স্থানীয় জনগণ এসে শাকিল ও সজীবকে নিকটস্থল থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ধামরাই ভর্তি করেন।
শাকিল হোসেনের অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে জানা যায়।
এই অতর্কিত হামলায় আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রিমন এলাকার কিশোর গ্যাং এর প্রধান ।
রিমনের নেতৃত্বে চলে মাদক ব্যবসা সহ ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি। কিছু সুবিধাবাদী বিএনপি নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে চলেন এই রিমন। আর তাদের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এলাকা জিম্মি করে রেখেছেন। রিমনের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে মারধর সহ মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। এলাকাবাসী রিমনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
এই ব্যাপারে আশুলিয়া থানা তদন্ত ওসি কামাল হোসেন জানান,শাকিল হোসেনের উপর আক্রমণ ও তাকে হত্যার চেষ্টা করার অপরাধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আশুলিয়া থানা রুজু করা মামলা নম্বর ৪৩/৫/২৫/। অবশেষে আশুলিয়া থানা পুলিশ রিমন হোসেনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ও জেলহাজতে প্রেরণ করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হারুন বলেন রিমন অনেক দুর্ধর্ষ প্রকৃতির লোক মাদক চাঁদাবাজি, এবং ছিনতাই, চুরি, ডাকাতির সাথে রয়েছে সম্পৃক্ততা। রিমনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন করার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল আশুলিয়া থানায়। ঐ ভুক্তভোগী মামলা করলে RAB 4 তাকে গ্রেফতার করেন। অবশেষে জামিনে বের হয়ে আবারো তান্ডব লীলা চালায় এলাকার নিরহ মানুষদের উপর।
ভুক্তভোগী শাকিল হোসেন বলেন রিমনের বিভিন্ন অপকর্মে আমি বাধা দিলে আমার প্রতি তার আক্রোশ সৃষ্টি হয় ও বিভিন্ন সময় আমাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান সহ ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছিল।
অবশেষে আমার জমির উপর জোরপূর্বক ইচ্ছাকৃতভাবে ঘর নির্মাণ করতে গেলে রিমনকে আমি বাধা দেই।
তখনই রিমন পূর্বের নিষিদ্ধ অপকর্মে বাধা এবং আমার জমির উপর বাড়ি নির্মাণ করতে বাধা দিলে রিমন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে।
আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত সহ বিচার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।
আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি যে কোন মুহূর্তে রিমনের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে মেরে ফেলতে পারে আমার জীবন এখন বিপন্ন।