দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষককে থানা পুলিশ গ্রেফতার করে শনিবার ২৬ জুলাই সকালে আদালতে সোপর্দ করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামি বীরগঞ্জ উপজেলার তথাকথিত ঝাড়বাড়ী নিউজ পোর্টালের পরিচালক ও প্রসাদ পাড়া গ্রামের আরকান আলীর ছেলে মোঃ জাকির হোসেন (২৭)।
উপজেলার ৩ নং মুকুন্দপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের মোঃ নিরব আলীর সতের বছরের কিশোরী মেয়ে সদ্য ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী, পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে অপহরণ হয়।
এ ব্যাপারে কিশোরীর মা আকলিমা খাতুন কাহারোল থানায় ১৫ মে ২০২৫ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করলে, মামলার মূল আসামি ধর্ষক জাকির হোসেনকে শুক্রবার বিকেলে কাহারোল বাজার কদমতলা মোড় থেকে কাহারোল থানার এসআই একেএম সাব্বির হোসেন গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার ৩ নং মুকুন্দপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের মোঃ নিরব আলীর সতের বছরের কিশোরী মেয়ে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী, পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে কাহারোল ফিসারি গেটের সামনে থেকে অপহরণ হলে কাহারোল থানা পুলিশ এজাহার ভুক্ত আসামি মোছাঃ মেরিনা আক্তার মিতু (২৮) কে ২৪ জুলাই গ্রেফতার ও তার স্বীকারোক্তিতে কাহারোল থানা পুলিশ মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানা পুলিশের সহায়তায় তেলিহাটা ইউনিয়নের টেপীর বাড়ি পাড়ার মোছাঃ ফিরোজা বেগমের আসামি কর্তৃক ভাড়া বাসা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর ভিকটিম জবানবন্দিতে জানায়, আসামি মেরিনা আক্তার মিতুর সহায়তায় ধর্ষক মোঃ জাকির হোসেন কিশোরীকে বিভিন্ন স্থানে আটক রেখে যৌন নিপীড়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ গাজীপুরের নমীর গ্রীন রিসোর্টে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
কিশোরীর মা আকলিমা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার মেয়ে ২০২৫ সালের এসএসসি পরিক্ষার্থী ছিল। প্রথম দিন পরীক্ষাও দিয়েছে, দ্বিতীয় পরীক্ষার দিন সে অপহরণ হয়। আমার নাবালিকা মেয়ের যে এত বড় ক্ষতি করল আমি তাদের কঠিনতম শাস্তির দাবি করছি।
কাহারোল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রুহুল আমীন নিশ্চিত করে জানান, মামলার তদন্ত ও এজাহার নামীয় আসামির স্বীকারোক্তিতে ঘটনার প্রাথমিকভাবে সত্যতা মিলেছে।তদন্ত চলমান সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।