সিঙ্গাপুরে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে কুষ্টিয়ায় একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মো. শাহিন (৩০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন এবং রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। অভিযোগকারী মো. জুয়েল (৪১), পিতা বাবলু খান, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল মিয়াপাড়ার বাসিন্দা। তিনি জানান, প্রতিবেশী শাহিন ২০২৩ সালে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান এবং ধাপে ধাপে মোট ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। এর মধ্যে ২ লাখ টাকা এস.এস পরিবহনের মাধ্যমে এবং বাকি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। “ঢাকা ও সিলেটে নিয়ে গিয়ে মেডিকেল পরীক্ষার নামে ঘোরানো হয়। তারপর শুধু সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। ২৭ জুলাই যখন তাকে সামনাসামনি প্রশ্ন করি, সে প্রকাশ্যে বলে ‘তোকে এক টাকাও দিবো না, পারলে আদায় করে নিস’,” বলেন জুয়েল। শুধু জুয়েল নয়, একই কৌশলে শাহিন আরও অন্তত তিনজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বটতৈল গ্রামের আমজাদের ছেলে সোহেল ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা নাসিরের ভাই জুয়েল ৯৫ হাজার টাকা আসালতের ছেলে সবুজ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এদিকে স্থানীয়দের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় এ ধরনের প্রতারণা রোধে প্রশাসনের শক্ত অবস্থান নেওয়া জরুরি। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, শাহিন নিজের রাজনৈতিক পরিচিতিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন এবং প্রতারণার অভিযোগ উঠলে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে শাহিন বলেন, “আমি কারোর কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। আর জুয়েল আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে, আমি পুলিশ অফিসারের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করে নিয়েছি।” তিনি নিজেকে ছাত্রলীগ দাবি করে আরও বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগ করি, আমার কিছু করতে পারলে করে নিস। এবিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।