কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের এক নেতাসহ একাধিক ছাত্র নেতাদের বিরুদ্ধে টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানায় এ সংক্রান্ত অভিযোগটি দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী দুলাল হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী।

যদিও অভিযুক্তরা তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত ৩১ জুলাই রাত আনুমানিক ৭ টার সময় ইবি থানাধীন হরিনারায়নপুর বাজারের ফেব্রিকোন গার্মেন্টস নামের একটি দোকান থেকে টাকাগুলো লুট করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দোকানের মালিক ভুক্তভোগী দুলাল হোসেন। লুটের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতারা হলো- কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক জামির হোসেন, সদর থানা ছাত্রদল নেতা আনক হাসান, খাতের আলী ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জুলহক আহমেদ ও ছাত্রদল নেতা সুমন হোসেন। অভিযুক্ত সকলেই হরিনারায়নপুর ইউনিয়নের পূর্ব আব্দালপুর গ্রামের বাসিন্দা। থানায় অভিযোগকারী দুলাল হোসেন একই গ্রামের রহমত মন্ডলের ছেলে। দায়েরকৃত অভিযোগের বরাত দিয়ে জানা যায়, ঐদিন ফেব্রিকোন গার্মেন্টস নামের দোকানটিতে বৃহৎ পরিসরে প্রচারণার লক্ষ্যে বেশ কয়েকজন ইউটিউবারের উপস্থিতিতে একটি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অফার মূল্যে পণ্যসামগ্রী বিক্রি চলছিল। সেখানে শতাধিক ক্রেতার উপস্থিতি ছিল। বেচাকেনা ভালো হওয়ায় অভিযুক্তরা তার ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে সন্ধা আনুমানিক ৭টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা

ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক জামিরুল ইসলাম জামিরের উস্কানিতে অন্য অভিযুক্তরা দোকানটির সামনে উপস্থিত হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। সেসময় দোকানের মালিকসহ অনান্য কর্মচারীরা বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে দোকানের বাইরে এলে অভিযুক্তরা বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে দোকানের ভেতর প্রবেশ করে। এরপর তারা ক্যাশের ড্রয়ার ভেঙে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা ও ক্যাশ মেমো লুট করে হট্টগোল করতে করতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। অভিযোগকারী দুলাল হোসেন মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, জামির হোসেনের ইন্ধনে আমার দোকানে লুট হয়েছে। তারা যে দলেরই হোক আমার সেটা দেখার বিষয় না। আমি গরীব মানুষের ছেলে, আমি আমার লুট হওয়া টাকা ফেরত চাই। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কুষ্টিয়া জেলা যুগ্ম-আহবায়ক জামিরুল ইসলাম জমির বলেন, ঐদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত আমি জেলা বিএনপির অফিসে ছিলাম, এ ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। একই প্রসঙ্গে আরেক অভিযুক্ত খাতের আলী ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জুলহক আহমেদ জানান, এই বিষয়ে বক্তব্যে আগেও বলেছি এখনও বলছি- “তদন্ত করে দেখেন, ওখানে সিসি টিভি ফুটেজ আছে। আমাদের সম্পৃক্ততার কোন প্রমান পেলে আমরা শাস্তি মাথা পেতে মেনে নেবো। কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোজাক্কির রহমান রাব্বি বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তাদের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তারা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থানায় অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।