টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার সর্বত্র আওয়ামী কুশীলবরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে । সখিপুর গত বছর ৫আগষ্ট আগস্টের পূর্বে যেভাবে ছিল এখনো সেভাবেই আছে। সখিপুরে গত বছর ৩ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপর হামলার প্রধান কুশীলব নেতৃত্ব দানকারীর অন্যতম শাকিল আনোয়ার এর নাম অজ্ঞ কারণে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বরং তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে তার বাড়ির উঠানের ইট সলিং এর কাজ পৌর কর্তৃপক্ষ করে দিয়েছে, ঠিকাদারী বিভিন্ন কাজ দিয়েছে, তার স্ত্রী রাশেদা আক্তার রাসুকে উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরীর কেয়ারটেকার নিয়োগ দিয়েছে ।সখিপুর পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারী ৫আগষ্ট এর পূর্বে এবং এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে । উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে যেমন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়াসিম, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. মনসুর আহমেদ,উপজেলা কৃষি অফিসার নিয়ন্তা বর্মন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কনক কান্তি দেবনাথ, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা খন্দকার আব্দুল্লাহ শাকের, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফিরোজা আক্তার, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ আনোয়ার হোসেন,সহকারি পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাকিয়া জান্নাত বিথী, তথ্য সেবা কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বিথী। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরও একই অবস্থা,গতবছর ৫ আগস্ট এর পূর্বে যেসব ডাক্তার ও কর্মকর্তা/ কর্মচারীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছিল এখনো তারা বহাল তবিয়তে রয়েছে । এছাড়া ৩ নং গজারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন, ৭ নং দারিয়াপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনসার আলী আসিফ, ৪ নং যাদবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি,সাবেক এমপি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জোহেরুল ইসলামের ছোট ভাই এ কে এম আতিকুর রহমান আতোয়ার ,কালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য মোঃ জামাল হোসেন ,৫ নং হাতীবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান খান রবিন, ১০নং বড়চনা ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজহারুল ইসলাম, ৯ নং হতেয়া রাজাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন খান বহাল তবিয়তে রয়েছে। সারাদেশে গত বছর ৫ আগস্ট এর পরে আমুল পরিবর্তন হলেও সখিপুরে কোন পরিবর্তনই হয়নি। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ও বিভিন্ন সংগঠনে আওয়ামী দোসররাই বহাল তবিয়তে রয়েছে। এমনকি উপজেলার কোন দপ্তরেই আওয়ামী ঘরোনার পত্রিকা ছাড়া দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক আমার দেশ দৈনিক দিনকাল, দৈনিক নয়াদিগন্ত রাখা নিষেধ। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল রনী বলেন, আগে যেভাবে পত্রিকা আসতেো এখনো সেভাবেই আসতেছে।