কুড়িগ্রামে বন্যা সহনশীল ধান পাইলটিং গবেষণা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে বেসরকারি সংস্থা বিএমজেড-পিটি প্রকল্প এবং আফাদ এর আয়োজনে তাদের নিজস্ব মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আফাদ এর নির্বাহী পরিচালক সাইদা ইয়াসমিন এর সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন,কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণের অতিরিক্ত উপপরিচালক আসাদুজ্জামান,বাংলাদেশ ধান গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক ডক্টর নাজিমুদ্দিন,সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা যুনায়েদ হাবিব,বিএমজেড-পিটি প্রকল্পের টেকনিকেল অফিসার মাহমুদুল হক,প্রকল্প সম্বনয়কারী রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
কর্মশালায় জানানো হয়,কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ও পাঁচগাছি ইউনিয়নের ২০টি দলে ৪৮০জন নারী কৃষাণীকে বন্যা সহনশীল ধান পাইলটিং গবেষণা প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। গবেষণায় ব্রি-৫২ধান, গানজিয়া, মালশিরা, গুটি স্বর্ণা চাষ করা হয়েছে। চাষকৃত এসব ধানে কোন ধরনের রাসায়নিক সার-কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি। শুধু জৈব সার দিয়ে চাষ করা হয়েছে। বিঘায় ৩দফায় প্রায় চারশ কেজি জৈব সার প্রয়োগ করা হয়। এই জৈব সার ব্যবহারের কারণে ধানের ফলন ভালো পাওয়া গেছে। ধানের দানা পুস্ট,আকার-আকৃতি সমান এবং চিটা কম। পাশাপাশি জমির উর্বরতা ও উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও জমিতে পানি ধারণ ক্ষমতা পেয়েছে। ধানের বীজতলা ট্রেতে করে উৎপাদন করা হয়। এতে করে ধানের অপচয় কমেছে। চারার স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং নির্দিষ্ট বয়সে চারা জমিতে রোপন করা যায়। কর্মশালায় নারী কৃষক, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী অংশগ্রহণ করে।
বাংলাদেশের উত্তর,পশ্চিম এবং পূর্বে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর স্থিতিস্থাপকতা শক্তিশালীকরণ করার লক্ষ্যে ৫টি অংশীদার সংস্থা (বিএমজেড-পিটি) নেটওয়ার্ক পদ্ধতির মাধ্যমে কুড়িগ্রামে ধান পাইলটিং গবেষণা-ফলাফল বাস্তবায়ন হচ্ছে।
বেসরকারি সংস্থা ম্যালটেজার ইন্টারন্যাশনাল এবং বিএমজেড এর সহায়তায় কুড়িগ্রামে অ্যাসোসিয়শন ফর অল্টারনেটিভ ডেভেলপমেন্ট (এএফএডি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।