চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচায় বিএনপি নেতা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যু আখ্যা দিয়ে ঝাড়ু মিছিল সভা করেছে ভিক্ষোবকারীরা। অসহায় মানুষের জমি দখল বানিজ্য ও মিথ্যা মামলা হামলা করার অভিযোগে এ ঝাড়ু মিছিল, বিক্ষোভ প্রতিবাদ করেছে চর মানিকা ইউনিয়নের বাসিন্ধারা।

বুধবার ২০আগস্ট সন্ধ্যায় এ ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ করেন তারা।

জানা গেছে, গত ১৬ আগস্ট মানিকা ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন একটি চর দখলকে কেন্দ্র করে রেজাউল করিমের নেতৃত্বে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে চরের বাসিন্দা আবুল হোসেন ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে মারধর করে চর থেকে বিতাড়িত করার পায়তারা করে। এঘটনায় আবুল হোসেন দক্ষিণ আইচা বাজারে ১৭ আগস্ট দুপুরে রেজাউল করিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে তাকে গুরুতর আহত করে। 

হামলার ঘটনায় রেজাউল করিমের ভাই ইউছুফ বাদি হয়ে দক্ষিণ আইচা থানায় কৃষক আবুল হোসেন, বিএনপির সম্পাদক  ফারুক মাস্টার ও থানা যুবদল সভাপতি ইকবাল হাওলাদার সহ স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। মিথ্যা মামলা করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করে। এই ঘটনায় চরের বাসিন্দা ও স্থানীয়রা ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ সভা করে।

বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন, চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম মিন্টিজ, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আশ্রাফুর রহমান দিপু ফরাজী, সাবেক স্বেচ্ছাসেবকদল সভাপতি মীর শাহাদাত হোসেন ছায়েদ, অধ্যাপক মইন আহমেদ, শ্রমিকদল সভাপতি মীর আবুল কালাম আজাদ ও দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপি সম্পাদক ফারুক মাস্টার প্রমুখ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি ও সাবেক যুবদল সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম দুলাল, ছাত্রদল আহবায়ক আলী মুর্তজা সহ শত শত স্থানীয় নেতাকর্মী।

সভায় বক্তারা বলেন, রেজাউল করিম এক সময় জামাত শিবিরের রাজনীতি করতো। এরপর স্বৈরাচার আওয়ামী সকারের তোফায়েল আহম্মেদের বাসার লজিং মাস্টার হিসেবে ছিল। আওয়ামী লীগের রাজনীতির করেন। ভূমি দস্যুতার কারণে তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বাদ দিয়ে দিলে পরবর্তীতে বিএনপির সঙ্গে রাজনীতি করে। তৎকালীন এমপি নাজিমুদ্দিন আলমের নাম ভাঙ্গিয়ে বিএনপি'র ক্ষমতামলে অসহায় মানুষের জমিজমা দখল, চর দখল ও লুটপাটের রাজনীতি করে। কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। এখন আবার ফাঁড়ি জমায় কেন্দ্রীয় যুবদল সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সাথে। এখন তাকেও খাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে। রেজাউল করিম চর দখল করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ধাওয়া খেয়ে এখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রাজনৈতিক গ্রুপিং সৃষ্টি করে ফায়দা লুটতে বিএনপির নেতাকর্মীদের জড়িয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করার পায়তারা করছে। ষড়যন্ত্র মূলক এ মামলা প্রত্যাহারে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাই। এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হলে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করা হবে। এমন হুঁশিয়ারি বক্তব্য ও মন্তব্য করেন দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফারুক মাস্টার সহ অন্যান্য বক্তারা।