ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আয়োজিত বিজয় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল রাজধানীর পল্টনে। হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে আয়োজিত এই শোভাযাত্রায় একটি বিশেষ গুরুত্বের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলার বিএনপির নেত্রী ও আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা।


আন্দোলন ও বিজয়ের প্রতীক হিসেবে আফরোজা খানম রিতা নিজ হাতে দলীয় পতাকা উড়িয়ে শোভাযাত্রার সম্মুখভাগে নেতৃত্ব দেন। তিনি মানিকগঞ্জ জেলার পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খলভাবে শোভাযাত্রায় সামিল করে পুরো আয়োজনকে সফল ও প্রাণবন্ত করে তোলেন। পল্টন থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে এই বিজয় মিছিল।

শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে তিনি শুধু আন্দোলনের ধারাবাহিকতাই নয়, বরং জনগণের বিজয় এবং দীর্ঘ দমন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের বার্তাও পৌঁছে দেন। তিনি বলেন, “এই বিজয় শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলের নয়, এটি দেশের আপামর জনতার। যারা দীর্ঘ ষোলো বছর ধরে অন্যায়, দুর্নীতি ও একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।”

আফরোজা খানম রিতা তার বক্তব্যে স্মরণ করিয়ে দেন ২০০৯ সালের ঐতিহাসিক ‘জুলাই আন্দোলন’-এর কথা, যা ছাত্র-জনতার সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা করে। তিনি বলেন, “জুলাই আন্দোলনের সেই দিনগুলোর মতোই আজও আমরা ঐক্যবদ্ধ। জনগণ আজও অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য আন্দোলনরত, আর বিএনপি সেই জনগণের কণ্ঠস্বর।”

শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিতা আরও জানান, “এই বিজয় আমাদের আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। সামনে আরও কঠিন সময় আসবে, কিন্তু আমরা পথ হারাব না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই স্বৈরতন্ত্রের পতন নিশ্চিত করব।”

উল্লেখ্য, গণঅভ্যুত্থানের এই দিবসটি বিএনপির জন্য কেবল একটি রাজনৈতিক স্মারক নয়, বরং এটি দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আর এদিনে মানিকগঞ্জ জেলার একমাত্র নারী নেত্রী হিসেবে আফরোজা খানম রিতার নেতৃত্ব এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ মানিকগঞ্জবাসীর গর্ব এবং অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।