আজ সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ১০টায় উপজেলা বজ্রকণ্ঠ সম্মেলন কক্ষে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার। সভায় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পূজারি ও স্থানীয় কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ইপিআই প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. তাসলিমা রহমান TCV (Typhoid Conjugate Vaccine) টিকার গুরুত্ব, লক্ষ্যভুক্ত শিশুদের বয়সসীমা, টিকা প্রদানের তারিখ ও পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। স্কুলে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্লে-৯ম শ্রেণী/ সমমান শ্রেণী পর্যন্ত সকলছাত্র-ছাত্রীদের টিকা দেওয়া হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে কমিউনিটিতে ৯ মাস থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত আট দিন ইপিআই সেন্টারে স্কুলে না যাওয়া শিশুদের টিকা দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকলেও বাবা-মায়ের মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করে শিশুকে টিকা দেওয়া যাবে।
টিকা পেতে https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকলে সরাসরি ভ্যাকসিন কার্ড পাওয়া যাবে। এ টিকা টাইফয়েড প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর এবং শিশুদের সুস্থ ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ তানভীর আহমেদ বলেন, আগামী ১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে ১৮ দিন ব্যাপি উপজেলার সব ইউনিয়নে ধারাবাহিকভাবে এ টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
উল্লেখ্য, কর্মশালাটি আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।