রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট এলাকায় চোর সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনায় গতকাল রাতে বুড়িরহাট এলাকা থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বালাপুরের মোঃ আলেফ উদ্দিনের ছেলে আক্তারুল ইসলাম(৪৫), ডাঙ্গাপাড়ার আজিজুল ইসলামের ছেলে এবাদত আলী(৩৫), মোঃ জাফর আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম(৪০) ও কুর্শা ইউনিয়নের পশ্চিম রহিমাপুর খাঁন সাহেব পাড়ার আইয়ুব আলীর ছেলে মিজানুর রহমান(২৬)।

উল্লেখ্য যে, গত ১০ আগস্ট রাতে বুড়ির হাট এলাকায় চোর সন্দেহে রূপলাল দাস (৫০) এবং প্রদীপ দাস (৩৫) কে স্থানীয় লোকজন ধরে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’জনই মারা যান। নিহত রূপলালের স্ত্রী ভারতী রানী বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। (মামলা নং ৪) মামলায় আসামিদের মধ্যে অজ্ঞাতনামা ৫০০-৭০০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

ঘটনার পর থেকেই বুড়ির হাট এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা রূপলাল ও প্রদীপের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন বেলতলী মেডিকেল মোড় এলাকায় । তারা বলছেন, “এমন নির্মমতা আর সহ্য করা যাবে না। পুলিশকে দ্রুত সব আসামিকে গ্রেপ্তার করতে হবে।” এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় নেতৃবৃন্দও চেষ্টা চালাচ্ছেন।

তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ ফারুক জানিয়েছেন, “আমরা দু’জনের হত্যার ঘটনায় মামলা নিয়েছি। তদন্ত চলছে এবং বাকি আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।