শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার কলা পাড়া এলাকায় মুসলিম স্টোরের সামনে বৃষ্টির ফাঁকে এক ব্যতিক্রমধর্মী আড্ডায় উঠে আসে প্রাচীন গ্রামীণ জীবনের স্মৃতিচারণ ও ঐতিহ্যের কথা। উপস্থিত ছিলেন গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি কালু মিয়া, চান কাকা, মুসলিম ভাইসহ স্থানীয় আরও অনেকে।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, প্রায় ১৪৬০ খ্রিস্টপূর্ব সময়েও গ্রামের মানুষ পায়ে হেঁটে বহু পথ অতিক্রম করত। পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় চাষাবাদ, পানীয় জল সংগ্রহ কিংবা বাজার করতে দীর্ঘপথ হেঁটেই যেত তারা। বাসস্থানে ছিল খড়ের ঘর, পানীয় জলের জন্য ব্যবহার করত কূপ (কুয়া), কারণ তখন নলকূপের প্রচলন ছিল না।
তারা আরও বলেন, গ্রামীণ জীবনের বড় অংশ জুড়ে ছিল বিল-ঝিলের মাছ। বহু মানুষ মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত এবং মাছই ছিল তাদের প্রধান খাবার। এ থেকেই এসেছে প্রবাদ— "মাছে-ভাতে বাঙালি"।
এসময় আলোচনায় উঠে আসে ডেকিছাঁটা চালের কথা, যা দিয়ে রান্না করা ভাত খেয়ে সেই সময়ের মানুষ শক্ত-সামর্থ্যে ভরপুর ছিল। তাদের দেহে রোগবালাই কম ছিল এবং পরিশ্রমও অনেক বেশি করতে পারত।
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রবীণরা বলেন, আজকের প্রজন্মের উচিত গ্রামীণ ঐতিহ্য ও পূর্বপুরুষদের কষ্ট এবং সহজ-সরল জীবন যাপন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।
এই ব্যতিক্রমী আড্ডাটি ছিল নকলার গ্রামীণ ইতিহাসকে স্মরণ করার এক অনন্য প্রয়াস।