নাটোরের গুরুদাসপুরে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর মাঠ কর্মকর্তা পরিচয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের চেষ্টাকালে এক প্রতারককে হাতেনাতে আটক করেছে প্রকৃত এনএসআই কর্মকর্তারা। নাটোর জেলা এনএসআই শাখার গোপন তথ্য, তৎপরতা এবং মেধাবী সমন্বয়ের মাধ্যমে সফলভাবে এই অভিযান পরিচালিত হয়।


অভিযানটি পরিচালিত হয় আজ রবিবার (০৩ আগস্ট ২০২৫) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে। গুরুদাসপুর বাজারে অবস্থিত মডেল মসজিদের সামনে থেকে মোঃ নাজমুল হোসেন (৩০) নামের ওই প্রতারককে আটক করা হয়। তিনি গুরুদাসপুর পৌরসভার অন্তর্গত খামার নাচকৈড় গ্রামের বাসিন্দা এবং মোঃ মকবুল হোসেনের ছেলে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আটক ব্যক্তি ভুয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চিঠি তৈরি করে নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে নিজেকে এনএসআই-এর মাঠ কর্মকর্তা পরিচয় দেন। এরপর তিনি গুরুদাসপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে গিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আজ জেলা খাদ্য অফিসের প্রধান সহকারী মোঃ জুলহাস উদ্দিনের কাছ থেকে চাঁদার অর্থ গ্রহণের সময় প্রকৃত এনএসআই কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়।

অভিযান পরিচালনায় সরাসরি অংশগ্রহণ করে এনএসআই-এর নাটোর জেলা কার্যালয়। তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানটি সফলভাবে সম্পন্ন হয় সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশের সহায়তায়। বর্তমানে আটককৃতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এনএসআই নাটোর শাখার এই বুদ্ধিদীপ্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে, রাষ্ট্রীয় সংস্থার নাম ভাঙিয়ে প্রতারণামূলক কার্যক্রমের কোনো সুযোগ নেই। সংস্থাটি মাঠপর্যায়ে দেশের নিরাপত্তা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে নাটোর এনএসআই-এর পক্ষ থেকে জনসাধারণকে সতর্ক করে বলা হয়েছে—কোনো ব্যক্তি যদি এনএসআই বা অন্য কোনো গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয়ে চাঁদা দাবি বা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে, তাহলে দ্রুত নিকটস্থ প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

লেখার ফ্রন্ট গুলো দয়া করে বড় করে দিয়েন। ছোট লেখা অনেকে পড়তে চায় না।