গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই দুপুরে পাবনা সদর রাধানগর এলাকায় সদাগর কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আসা নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল আটক করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহারুল ইসলাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুরিয়ারের একজন কর্মচারী জানান বুধবার ১৬ জুলাই ঢাকা দুয়ারী থেকে আমাদের পাবনা শাখায় ৮ বস্তা অবৈধ জাল আসে। তার মধ্যে ৪ বস্তা ডেলিভারি হয়ে গেছে। বাঁকি ৪টি বস্তা জব্দ করেছে প্রশাসন। এই চার বস্তায় ৪০টি ৫০ ফুটের নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল ছিল, যার আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ টাকা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনও নাহারুল বলেন এ ধরনের জালে অতি সূক্ষ্ম ছিদ্র হওয়াতে পোনা মাছ, মাছের ডিমসহ জলজ প্রাণীর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এসব জালে মাছসহ জলজ প্রাণী ধরা পরলে আর বের হতে পারে না। ফলে যেসব মাছ ও জলজ প্রাণী মানুষের খাবার যোগ্য সেগুলো ধ্বংস হচ্ছে। এতে জলজ পরিবেশ, ইকোসিস্টেম ও খাদ্যশৃঙ্খলে ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি করবে। তাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ ধরনের জালের ব্যবসা, মাছ শিকার ও কারখানা স্থাপন থেকে সকলকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জনস্বার্থে এসব অভিযান চলমান থাকবে এবং এসব অবৈধ জাল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাসও দেন তিনি।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন কারেন্ট জাল ক্ষতিকর তা আমরা সবাই জানি এর চেয়েও অনেক বেশি ক্ষতিকর চায়না দোয়ারী জাল।
আমরা মাছে ভাতে বাঙালি এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে গেলে আমাদের এসব নিষিদ্ধ জাল উৎপাদন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশের প্রায় তিন শতাধিক মাছের প্রজাতি বিলুপ্তের দ্বারপ্রান্তে। অবাধে এসব ছোট ছিদ্রের জাল ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে ঐতিহ্যের মৎস সম্পদ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ব্যাপক হারে অবৈধ পণ্য দেশের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় প্রবেশ করছে। নিষিদ্ধ এ পণ্যের শত শত চালান কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাচার হচ্ছে সুতার নাম দিয়ে।
এ সময় আনসার বাহিনীর একটি চৌকস দল অভিযানটিতে সহযোগিতা করেন।