ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও ওয়াটারএইড বাংলাদেশ রাজধানীতে পাবলিক টয়লেট ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ পানি-স্যানিটেশন-স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) সেবার মানোন্নয়নে নতুন করে সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করেছে।

২০১৪ সালের আগস্ট থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদনে ডিএনসিসি ও ওয়াটারএইড যৌথভাবে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, সংস্কার, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। নতুন চুক্তির মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরের জন্য এই উদ্যোগকে আধুনিক ও টেকসই রূপ দেওয়া হবে।

সোমবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য হলে বসানো যাবে) ডিএনসিসির পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অঃদাঃ) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের নির্দেশনা ও অনুমোদনক্রমে এই কার্যক্রম বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন উভয় পক্ষ।

সমঝোতা অনুযায়ী, পাবলিক টয়লেট স্থাপন, সম্ভাব্যতা যাচাই, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, ‘টয়লেট পরিচালনা নির্দেশিকা ২০১৮’ হালনাগাদ ও ব্যবস্থাপনা কাঠামো আধুনিকায়ন করা হবে। বিদ্যমান ইজারা পদ্ধতি ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ উদ্যোগে জাতীয়-আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিজ্ঞাপনদাতা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নারীবান্ধব “পিঙ্ক টয়লেট” ও নিম্নআয়ের পুরুষদের জন্য “নীল টয়লেট” চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া মডেল পাবলিক টয়লেট ও রেটিং সিস্টেম চালু করা হবে।

ডিএনসিসির নেতৃত্বে সেবাদাতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে নেটওয়ার্ক গঠন এবং নিয়মিত জনসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এসব কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ দেবে।