ময়মনসিংহে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিখন দক্ষতা যাচাই কার্যক্রম উদ্বোধন উদ্ধোধন করা হয়েছে।
সোমবার (১১আগস্ট) সকাল ১১টায় ময়মনসিংহ উপজেলার পুলিশ লাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নগরীর নওমহল ক্লাস্টারের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে মৌলিক দক্ষতা যাচাই প্রতিযোগিতা- ২০২৫ এর শিখন দক্ষতা যাচাই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন। এসময় তিনি বিভিন্ন শ্রেণির শিশুদের শিখন দক্ষতা যাচাইকালে তাদের মেধা, দক্ষতা, মনোযোগ, আগ্রহ, কৌতূহল, প্রভৃতি বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তাদের বিভিন্ন গাণিতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিষয়র সমাধান করতে দেন।
এসময় শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে বলেন, শিশুরা আমাদের জাতির আলোকিত আগামী। আজকের শিশু আগামীর বাংলাদেশ। তাই সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে শিশুদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। আর এ দায়িত্ব শিক্ষকদের। তাই শিক্ষকদের নিজেকে প্রতিনিয়ত সময়ের পরিবর্তিত চাহিদানুসারে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। শেখানোর জন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যেতে হবে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়ে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। এবং এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাদ্দাম হোসেন এর সার্বিক তত্বাবধানে আয়োজিত প্রতিযোগিতানুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেবি ক্লাস্টারের শিক্ষকবৃন্দ।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন জানান-এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীদের বাংলা ও ইংরেজি পঠন দক্ষতা এবং গণিত বিষয়ের মৌলিক জ্ঞান যাচাই করা। প্রতিযোগিতাটি সাধারণত বিদ্যালয় পর্যায়ে শুরু হয়ে ক্লাস্টার পর্যায়ে গড়ায় এবং বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয়। তিনি বলেন-এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি ইতিবাচক প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি হয় এবং তাদের শেখার আগ্রহ বাড়ে। একই সাথে, শিক্ষকদের জন্যেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মূল্যায়ন টুল, যা শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা চিহ্নিত করতে এবং তাদের উন্নতিতে সহায়তা করতে কাজে লাগে। প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে ৩য়, ৪র্থ এবং ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথকভাবে বাংলা, ইংরেজি পঠন দক্ষতা এবং প্রাথমিক গণিত বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হয় বলেও জানান প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন।