খানাখন্দে ভরা কাঁচা রাস্তায় ভোগান্তি
সরেজমিনে দেখা গেছে, বহরপুর ইউনিয়নের নতুনচর, পাকালিয়া আবাসনের ব্রীজ থেকে শুরু করে ইকরজনা স্কুল হয়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের আটদাপুনিয়া হয়ে বানিবহ বাজার পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও কাঁদা জমে আছে। কিছু স্থানে পানি জমে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভ্যান, বাইসাইকেল, ইজিবাইক তো দূরের কথা, সাধারণ পথচারীদের চলাচল করাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। যানবাহন চালকরা বাধ্য হয়ে ৬-৭ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করছেন।
ইকরজনা গ্রামের কৃষকরা জানাচ্ছেন,মাঠ থেকে ফসল মাথায় করে বাড়ীতে নিতে হচ্ছে ফসল বাজারে নিতে হলে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এতে তাদের কৃষি উৎপাদনে বাড়তি চাপ পড়ছে।
স্থানীয় ইজিবাইক চালক মিনহাজ হোসেন ও নছিমন চালক শহিদ প্রামানিক বলেন, “রাস্তার কারণে আমাদের প্রতিদিন অতিরিক্ত ৭-৮ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়। এতে সময় ও খরচ—দুটোই বাড়ছে।”
তেঁতুলিয়া বাজারের অটোভ্যান চালক লুৎফর রহমান বলেন, “সড়কটি ভালো থাকলে সহজেই হাটে যাওয়া যেত। এখন অনেক ঘুরে যেতে হচ্ছে।”
ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে বহরপুর বাজারের কয়েকজন মুদি দোকানদার বলেন, “রাস্তা খারাপ থাকায় মাল আনতে বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে। এতে আমাদের লাভ কমে যাচ্ছে।” তারা দ্রুত রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানিয়েছেন।
জনপ্রতিনিধি বহরপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছাঃ শিরিনা আক্তার বিউটি জানান, “ইকরজনা গ্রামের মানুষ বারবার রাস্তাটির দুরবস্থার কথা বলেছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি, তবে এখনো কোনো কাজ শুরু হয়নি।”
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কোহিনুর জাহান বলেন, “সড়কটি পরিদর্শন করা হয়েছে। এটি মাটি দ্বারা উন্নয়ন করতে হবে। চলতি অর্থবছরে কাজটি করার চেষ্টা থাকবে।”
এলাকাবাসীর জোর দাবি ইকরজনা স্কুল মোড় থেকে আবাসন পাকা সড়ক পর্যন্ত এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দ্রুত সংস্কার অথবা পাকাকরণের জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন অবহেলিত এই রাস্তাটি মেরামত না হলে তাদের যাতায়াতে আরও দুর্ভোগ বাড়বে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বহরপুর ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা এই সড়কের বিষয়ে জানিয়েছেন। গুরুত্বপুর্ন রাস্তাটির সংস্কার কাজ দ্রুতই শুরু হবে।”)