প্রথমে তামিম ইকবাল, তারপর আমিনুল ইসলাম বুলবুল–দুজনেই বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর জমে উঠেছে ক্রিকেটাঙ্গন।

যেখানে কয়েক দিন আগে বিসিবির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির সাবেক এমপি আলী আসগার লবি ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল তাদের দলের পক্ষ থেকে বিসিবি সভাপতি হিসেবে প্রার্থী হবেন। এরপরই প্রশ্ন উঠে তাহলে আমিনুল ইসলাম বুলবুল কি সরকারের প্রার্থী? 

সোমবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ক্রীড়া বিভাগের প্রধানদের এক মতবিনিময় সভায় উঠে আসে বিসিবি নির্বাচন প্রসঙ্গ। সেখানেই উপদেষ্টা পরিষ্কার জানিয়ে দেন সরকার কোনো পক্ষে নেই। ‘দুজনের নাম শোনা যাচ্ছে তারা সবাই ক্রিকেটার, এটি একটি ভালো দিক। সরকার চায় নিয়ম মেনে বিসিবি নির্বাচন হোক। এখানে সরকার কোনো পক্ষে নেই। আগে তো একজনকে নিয়েই নির্বাচন হতো, এখন তো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে কিন্তু সভাপতি নির্বাচিত করেছেন বিসিবির পরিচালকরা; যারা কিনা গত চার বছর ধরে বিসিবিতে রয়েছেন। সুতরাং সরকার তাঁকে সভাপতি বানিয়েছেন কথাটি ঠিক নয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাদের গঠনতন্ত্র মেনেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে পরিচালক নির্বাচিত করেছে।’ 

বিসিবি নির্বাচন ছাড়াও আলোচনায় উঠে আসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহায়তায় আট বিভাগে ‘স্পোর্টস হাব’ নির্মাণের কথা। 

উপদেষ্টা জানান, প্রকল্পটির জন্য আমিরাতের কাছে ১৯ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আলোচনার টেবিলে আরেকটি বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। ঢাকা শহরে মাঠ সংকটের কারণে বিকেলে অনেক মহল্লার শিশু-কিশোররা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত থাকে। সেখানে ঢাকার স্কুল-কলেজগুলোর মাঠগুলো বিকেলে গেট বন্ধ না রেখে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খোলা রাখলে স্থানীয় শিশু-কিশোররা খেলাধুলা করার সুযোগ পাবে বলে সহমত প্রকাশ করেন তিনি।