একটানা ১০/১২ দিনের ভারী বৃষ্টির কারণে আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ২৪ গ্রামের মানুষ প্লাবনের শিকার হয়েছে। পানি বামনডাঙ্গা স্লুইস গেট দিয়ে ভাটার সময় নদীতে নামলেও জোয়ারের সময় আবার পানি ঢুকছে। ফলে এলাকার মানুষের ভোগান্তি কাটঝেনা।  
বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকরা সরেজমিনে গেলে বামনডাঙ্গা স্লইচ গেট কমিটির সদস‍্য ফকরাবাদ গ্রামের কুদ্দুস সরদার সহ স্থানীয় কনিকা, তুলসী, শান্তি, দেবী, জানকি, তারামনি ও কাকলি জানান, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম আসলেই আমাদের পানিতে হাবুডুবু খেতে হয়। ইউনিয়নের ২৪ টা গ্রামের অনুমান ৩৬ হাজার মানুষ হাজার হাজার বিঘা কৃষি জমিতে ধান চাষাবাদ করে। এছাড়া কয়েক হাজার বিঘা জমির মৎস‍্য ঘের রয়েছে। এসব মৎস্যঘের ও চাষের জমির পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে এই স্লুইট গেট দিয়ে। গেট সংলগ্ন পানি নিষ্কাশনের যে সমস্ত খাল রয়েছে তাতে নেট পাটা পানি সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। তারা আরো বলেন, একেতো ছোট ফোকরের গেট তারপর পাট ভাঙ্গা। গেট দিয়ে পানি সরে ঠিকই তেমনি পানি ওঠেও থাকে। এছাড়া গেটের সামনে নদীর চরে প্রচুর পলি মাটি জমা থাকায় ভাটার সময় অল্প পানি সরে থাকে। আবার জোয়ারের সময় তুলনামূলক বেশি পানি ঢুকে এলাকা তলিয়ে যায়। তিন ফোকরের গেট নির্মানের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এছাড়া গেটের মুখের পলিমাটি অপসারণ ও স্লইচ গেটের পাঠ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।