লাগেজ স্ক্যানিং চালু হওয়ায় ট্রেনভিত্তিক অপরাধ রোধ, মাদক ও অবৈধ পণ্যের পাচার ঠেকানো সহজ হবে বলে মনে করছে কক্সবাজার রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ।
স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজার থেকে ইয়াবার মতো ভয়ংকর মাদকের পাচার বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা তথ্যানুযায়ী সক্রিয় মাদক কারবারিরা রেলপথকে নতুন মাদক পাচার রুট হিসেবে ব্যবহার করতে পারে সেই শঙ্কা থেকে মাদকপাচার রুখতে এই উদ্যোগ।
তিনি জানান, যাত্রীরা যেন দুর্ভোগের শিকার না হয় সেক্ষেত্রে ট্রেন ছাড়ার অন্তত আধাঘণ্টা আগেই স্টেশনে প্রবেশ করতে হবে। স্টেশনের প্রবেশ মুখে ট্রেনে যাত্রা শুরুর পূর্বে স্ক্যানার মেশিনে ব্যাগ রাখতে হবে যাত্রীদের।
প্রথমদিন এই কার্যক্রম শুরুর পর দেখা যায়, স্টেশন কর্তৃপক্ষ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে এই স্ক্যানিং কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
এই মেশিনে ওষুধ জাতীয় দ্রব্য থেকে শুরু করে যে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও চোরাই পণ্য শনাক্ত করা যাবে উল্লেখ করে গোলাম রাব্বানী জানান, মেশিনে নির্দিষ্ট কিছু বস্তুর ওপর শনাক্ত চিহ্ন রয়েছে, শনাক্ত হওয়া ব্যাগই শুধু তল্লাশি করা হচ্ছে। যাতে যাত্রীদের বিড়ম্বনা সৃষ্টি না হয় সেদিকটাও খেয়াল রাখা হচ্ছে
ঢাকা থেকে আসা ট্রেনের যাত্রী মহসিন জামাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই উদ্যোগ আসলে প্রশংসনীয়, যা আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়তা করবে। তবে কেউ যেন অহেতুক হয়রানি না হয়, সেদিকে কর্তৃপক্ষকে নজর রাখতে হবে।
কক্সবাজার-ঢাকা রুটে কক্সবাজার ও পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন এবং কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে সৈকত ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেন বর্তমানে চলাচল করছে।
২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর কক্সবাজার রেলস্টেশনের যাত্রীসেবা কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।