কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটিতে মৃত ব্যক্তির নাম তালিকাভুক্ত করে কমিটি গঠন করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তৃণমূল বিএনপির মধ্যে চলছে সমালোচনার ঝড়। নেতাকর্মীদের দাবি ত্যাগীদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করার কারণেই এ ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, ত্যাগীদের বঞ্চিত করে ওয়ার্ড সভাপতির নিজ এলাকা থেকে ৪২ জনকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। তবে ওয়ার্ড কমিটিতে মৃত ব্যক্তিকে নেতা বানানোর ব্যাপারে কিছু জানে না উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতারা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ আগস্ট চাপড়া ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে বিএনপির কমিটি গঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২৪ জুলাই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়। শহিদ মিয়াকে সভাপতি ও মোশারফ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। ওই কমিটিতে ৪নং সহ-সভাপতি পদে মৃত ব্যক্তি মো. সাহিদকে যুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মৃত ব্যক্তির ভাই।
একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফজলু বলেন, ‘বছর খানেকের বেশি হলো আমার ভাই হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। কিন্তু ওয়ার্ড কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে তার নাম থাকাটা ভুলবশত হয়েছে।’
আরেক ইউনিয়ন বিএনপির পদ বঞ্চিত নেতা আব্দুর রাজ্জাক রাজা অভিযোগ করে বলেন, ‘নেতাদের তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্যই চালিয়ে যাচ্ছে এসব বিতর্কিত কার্যকলাপ। এসব কমিটিতে দলের জন্য জেল-জুলুমের শিকার ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে তাদের আত্মীয়-স্বজন এবং কাছের লোকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি এক নেতার এলাকার ৪২ জনকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।’
৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শহিদ মিয়া বলেন, ‘কমিটিকে মৃত ব্যক্তি রয়েছেন ব্যাপারটি আমার জানা নেই। কমিটির লিষ্ট বের করে যাচাই করে আপনাকে জানাবো। তবে আমার পছন্দের লোক নিয়ে কমিটি গঠনের অভিযোগ সঠিক নয়।’
চাপড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বলেন, ‘ওয়ার্ড কমিটিতে মৃত ব্যক্তি রয়েছেন এ বিষয়টি আমারও জানা নেই। আমাকে ঘণ্টা খানেক সময় দিলে আমি এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানাতে পারব।’
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব লুৎফর রহমান বলেন, ‘ওয়ার্ড কমিটি গঠনের সময় সার্চ কমিটি, জেলা কমিটি ও থানা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিল। আমি ছিলাম কো-অর্ডিনেটর। কেউ কথা না বললে কীভাবে বুঝতে পারব। কমিটিতে মৃত কেউ আছে জানতে পারলে তা হতে দিতাম না।’