যশোরের চৌগাছার ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান ঢালিকে সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে গুরুতর
আহত করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার
দিকে যশোর-চৌগাছা সড়কের নিমতলা বাজারে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভে
দেখায়। তারা অভিযুক্ত সন্ত্রাসী লিটনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক
ঘোষণায় বলে, সন্ত্রাসী লিটনের পা কেটে আনতে পারলে দেওয়া হবে এক লাখ টাকার
পুরস্কার।’ উপস্থিত জনতা এই ঘোষণায় চিৎকার করে ও করতালি দিয়ে সমর্থন
জানায়।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার দুপুরে চৌগাছার মান্দারতলা এলাকায় মোটরসাইকেলে
যাওয়ার সময় চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান ঢালির পথরোধ করে সন্ত্রাসীরা। এরপর
তাকে বেধড়ক পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয় তারা। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে
প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি
করে।
আহত জিয়াউর রহমান ঢালি ফুলসারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ইউনিয়ন
পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তিনি জানান, “চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একটি প্রভাবশালী পক্ষ
আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। স্থানীয় সন্ত্রাসী লিটন আমার কাছে ১০ লাখ
টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় এই হামলা চালানো হয়।” তিনি আরও
বলেন, হামলার সময় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করার চেষ্টাও করা হয়েছিল, তবে
স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ফুলসারা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বলেন, “জিয়াউর
রহমান ঢালি একজন সজ্জন ব্যক্তি। যারা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে, তারা
এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। আমরা এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন
চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী মাসুদ চৌধুরী।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান এবং চলতি বছরের ২৮
এপ্রিল গ্রেফতার হন। এরপর প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে জিয়াউর রহমান ঢালি
দায়িত্ব পান।
চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। “এখনো
পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে আমরা সক্রিয়ভাবে অভিযান
চালাচ্ছি এবং দোষীদের গ্রেফতারে কাজ করছি।”#