ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আমার সহকর্মী, বন্ধুরা বা সহযোদ্ধারা, যারা মানুষকে একটা স্বপ্ন দেখিয়েছিল, তারাই সেই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করেছে ৫ আগস্টের পর।

সোমবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে ‘জুলাইয়ের প্রতিশ্রুতি : প্রত্যাশা বনাম বাস্তবতা’ শীর্ষক প্রবন্ধ লেখনি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, ৩ আগস্টের ঘোষণার আগেও গণতন্ত্র এবং ফ্যাসিবাদ— দুটো পক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তখন মানুষ ধরে নিয়েছিল, এই ফ্যাসিবাদের পতন হলে আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা, একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা পাব। যেখানে নাগরিকদের অধিকার এবং মর্যাদা থাকবে। হাসিনার ১৬ বছরের মতো দৈত্য-দানবীয় ব্যবস্থা থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, ৩ আগস্টের ঘোষণায়ও ছিল আমাদের এই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ এবং রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা। তবে আন্দোলনের এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ১১ মাসে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে তারাই, যারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। মানুষ হতাশ হয়েছে। এখন রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সবার মধ্যে হতাশা।

অভ্যুত্থানের ‘স্পিরিট’ বা চেতনার কথা বলে যারা প্ল্যাটফর্ম গঠন করেছে, তারাও আওয়ামী লীগের মতো আচরণ করছে উল্লেখ করে নুর বলেন, আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগের আমলে একদল লোক রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে থাকে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানুষের ওপর জুলুম করে, জিম্মি করে, নির্যাতন-নিপীড়ন চালায়, প্রশাসনকে ব্যবহার করে সম্পদ দখল করে। অভ্যুত্থানের পরে যারা ‘স্পিরিট’ এর কথা বলে প্ল্যাটফর্ম গঠন করেছে, তারাও কিন্তু একই কাজ করছে।

ছাত্র অধিকার পরিষদ জাবি শাখার সভাপতি ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাজিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও দেন ছাত্র অধিকার পরিষদ জাবি শাখার প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক শাকিল উজ্জামান, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, গণঅধিকার পরিষদের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ শওকত হোসেন, শহীদ শ্রাবণ গাজীর বাবা মান্নান গাজী এবং শহীদ আলিফ আহম্মদ সিয়ামের বাবা বুলবুল কবীর।