সংবিধানে সকল জাতিগোষ্ঠীর সমান অধিকারের স্বীকৃতি থাকবে।  পুরোনো সিস্টেমে আইন বাংলাদেশে চলবে না। আমরা বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের মাধ্যমে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই- নাহিদ ইসলাম। 

মৌলভীবাজার বেরির পাড় পয়েন্টে অদ্য  শনিবার ২৬শে জুলাই দুপুর ১২ ঘটিকার সময়  ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’  পথসভায় আয়োজন করেন। 

পদযাত্রা শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয়  আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন পুরোনো সিস্টেমে আইন বাংলাদেশ চলবে না। আমরা বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের মাধ্যমে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। তিনি আরও বলেন, পুরাতন কাঠামো ভেঙে জনগণের রাষ্ট্র গড়াই আমাদের লক্ষ্য।  পুলিশ হত্যাকে প্রাধান্য দিয়ে অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতার ওপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা হচ্ছে। আমরা ৩ আগস্টে এক দফা দাবিতে পরিষ্কার বলেছি এ লড়াই শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে। আমাদের প্রতিরোধ ছিল ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও বাহিনীর বিরুদ্ধে। আমরা দেশ গড়তে এসেছি, দমন-পীড়নের শিকার হয়ে নয়।


এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আরও বলেন আমরা বলেছি নতুন সংবিধান প্রয়োজন যে সংবিধানে দেশের মানুষের মানবাধিকার লড়াইয়ের কথা থাকবে। ১৯৪৭ সালের ঐতিহাসিক লড়াই, ১৯৭১-এর স্বাধীনতা সংগ্রাম, ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের স্বীকৃতি দেওয়া থাকবে। সংবিধানে সকল জাতি-গোষ্ঠীর অধিকারের সমান স্বীকৃতি থাকবে। এই সংবিধানের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে অনেক রাজনৈতিক শক্তি।


 'দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা' এনসিপি' র মৌলভীবাজার জেলার প্রধান সমন্বয়কারী ফাহাদ আলম এর সভাপতিত্বে পথসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, বাগছাস কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মারুফ আল হামিদ, সংগঠক জাকারিয়া ইমন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক অর্পিতা দাশ, সামান্তা শারমিন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব প্রীতম দাশ, যুগ্ম সমন্বয়কারী এহসান জাকারিয়া প্রমূখ। এছাড়াও স্থানীয় নেতাকর্মী, ছাত্র-যুব সংগঠনের সদস্যরা ও সাধারণ জনগণ ব্যাপকভাবে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয় এনসিপির কেন্দ্রীয়  নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। 

মৌলভীবাজারে জুলাই পদযাত্রা শেষে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা অডিটোরিয়াম হলরুমে আসলে এনসিপির নেতৃবৃন্দদের উত্তরীয় প্রদান করেন মণিপূরি,ত্রিপুরা ও চা জনগোষ্ঠী প্রতিনিধিগণ। এখানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী, চা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ' র সাথে গোলটেবিল বৈঠক ও মতবিনিময় সভা করেন। শ্রীমঙ্গল চৌমূহনায় ' দেশ গড়তে, জুলাই পদযাত্রা' হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ'র আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ  বক্তব্য প্রদানে সময় না থাকায় শ্রীমঙ্গল প্রস্থান করেন। পরবর্তীতে এনসিপি'র কেন্দ্রীয় নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ শ্রীমঙ্গল চৌমূহনা পয়েন্ট স্থানীয় এনসিপির নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাত করেন ও দিক নির্দেশনা প্রদান করে'ই শ্রীমঙ্গল শহর প্রস্থান করেন।