সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দেখার হাওর কামরাঙ্গীঁ ও কপলা এলাকার হাওড়াঞ্চলে চলছে বোরো ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর ব্যস্ত সময়।

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দেখার হাওর কামরাঙ্গীঁ ও কপলা এলাকার হাওড়াঞ্চলে চলছে বোরো ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর ব্যস্ত সময়। হাওরের বাতাসে দুলছে পাকা ধানের সোনালি শীষ, চারপাশে এখন ফসল তোলার উৎসবমুখর পরিবেশ। এ বছর বোরো ধানের ফলন ও বাজারদর ভালো হওয়ায় খুশি হাওরপাড়ের কৃষক পরিবারগুলো। প্রতিটি হাওরে চলছে কর্মচাঞ্চল্য। কৃষকরা মাঠেই ধান কেটে মাড়াই করে রোদে শুকিয়ে ঘরে তুলছেন সোনার ফসল। কৃষাণীরাও পিছিয়ে নেই—তারা উৎসাহ নিয়ে ধান শুকানো ও গোলায় তোলার কাজে সহযোগিতা করছেন। পাশাপাশি গবাদিপশুর জন্য খড় শুকাতেও ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এ বছর আবহাওয়ার অবস্থা বেশ অনুকূলে থাকায় স্বস্তিতে ধান কাটার কাজ চলছে। যদিও গত সপ্তাহে কিছুটা বৃষ্টিপাতের কারণে কিছু জায়গায় ধান কাটার কাজে ব্যাঘাত ঘটে, তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান জানান, ছাতকে চলতি মৌসুমে ১১ হাজার ৯৯৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ইতোমধ্যে ৯৬ শতাংশ জমিতে ধান কর্তন শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা মাঠ পর্যায়ে সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করছি, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দ্রুত সব ধান ঘরে তোলা সম্ভব হবে।” কপলা গ্রামের কৃষক রনি নাথ জানান, “আমাদের হাওরে ধান কাটা প্রায় শেষ। অন্য হাওরগুলোতেও কয়েক দিনের মধ্যে কাটা শেষ হয়ে যাবে। যদিও গত সপ্তাহে বৃষ্টির কারণে কিছুটা অসুবিধা হয়েছিল, তবে এখন কাজ ভালোভাবেই চলছে।” সার্বিকভাবে ছাতক উপজেলার হাওরে এখন উৎসবের আমেজ। শ্রমিকের পাশাপাশি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ব্যবহারে সময় ও খরচ কমে যাওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এই খুশির ফসল নিরাপদেই ঘরে তুলতে পারবেন হাওরবাসী কৃষকেরা। ছাতক উপজেলা কৃষি অফিসার তৌফিক হোসেন খান জানান ছাতকে হাওরে মোট ১১৯৯৭ এক্টর বোরো আবাদ হয়েছে,এর মধ্যে অংশে ৯৬% ২৯৩৭ একর বোরো কর্তন হয়েছে নন হাওরে ৭৪% ১১১৪২ একর বোরো ধান কর্তন হয়েছে এরই মধ্যে আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষকরা  আনন্দে ধান তুলছে।