অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, ভয় আর নোংরা রাজনীতির বিরুদ্ধে আজ আমি দাঁড়িয়েছি। আমি আফাজ উদ্দিন, এই মাটির সন্তান, আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা-১৮ আসনের প্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করছি।


আমি মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, প্রার্থী  ঢাকা-১৮ আসন যুগ্ম আহ্বায়ক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।

 আমি মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, শুধুমাত্র একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে নয়, এই এলাকার একজন সন্তান হিসেবে, এই মাটির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে, ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে আমার প্রার্থিতা ঘোষণা করছি।

এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং এলাকাবাসীর প্রতি আমার অকৃত্রিম ভালোবাসা।

আমার রাজনৈতিক পথচলায়।
আমি ছিলাম সাবেক ছাত্রদল ওয়ার্ড সভাপতি, তুরাগ থানা, সাবেক ছাত্রদল ইউনিয়ন সভাপতি, তুরাগ থানা, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি, বৃহত্তর উত্তরা থানা, সাবেক আহ্বায়ক, যুবদল, উত্তরা মডেল থানা, সাবেক দুইবারের সাধারণ সম্পাদক, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপি, সাবেক আহ্বায়ক, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপি। এই পথচলা শুধু পদ-পদবির নয়, এটি ছিল একটি আদর্শ ও নীতির রাজনীতি করার অঙ্গীকার।

ঐক্যের ডাক-

আমি বিশ্বাস করি, আজ সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার
অন্যায়ের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, গডফাদারতন্ত্রের বিরুদ্ধে, আমরা যদি অন্যায়কারীদের মেনে নেই, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা একটি ভয়াবহ গডফাদার-নির্ভর সমাজ দিয়ে যাব। ঢাকা-১৮ এর প্রতিটি মানুষকে আমি আহ্বান জানাই, চলেন ঐক্যবদ্ধ হই, চলেন সকল অন্যায়কে না বলি।

 আমার শিকড় এই মাটিতে-

এই এলাকার পথঘাট, প্রতিটি পাড়া-মহল্লা, প্রতিটি জনতার সঙ্গে আমার রক্তের সম্পর্ক, এই মাটিতেই আমার জন্ম, এই মাটিতেই আমার বেড়ে ওঠা, এই ঢাকা-১৮ আমার শিকড়, আমার আত্মপরিচয়ের প্রতীক।
এই এলাকাকে ভালোবাসি বলেই নিরব দর্শক হয়ে থাকতে পারলাম না। অবিচার, চাঁদাবাজি, ষড়যন্ত্র, হুমকি ও ভয়ের রাজনীতির বিরুদ্ধে আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করছি।

সততার রাজনীতি চাই-

আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতির ভিত্তি হওয়া উচিত সততা ও আদর্শ, আজ যারা স্বচ্ছতা, সাহস এবং মূল্যবোধ নিয়ে রাজনীতি করেন—তাদের প্রতি আমার অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা ও সমর্থন, আপনারাও এগিয়ে আসুন' আমরা একসাথে গড়ে তুলবো অন্যায়মুক্ত, ভয়ের রাজনীতিমুক্ত একটি সুন্দর সমাজ।

আপোষ নয় অন্যায়কারীদের সাথে , প্রতিরোধ চাই

জনৈক ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যখন রাজনৈতিক কৌশলের নামে চাঁদাবাজি, ষড়যন্ত্র, মানুষের অধিকার হরণ এবং স্বার্থপর অপচেষ্টা চালায়, তখন চুপ থাকা মানেই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া। আমি স্পষ্ট করে বলছি—অন্যায়কারীর সঙ্গে কোনো আপোষ নয়, চুপ থাকা মানে আগামী প্রজন্মের গলায় শিকল পরিয়ে দেওয়া, তাই জনৈক ব্যাক্তির ষড়যন্ত্র, লোভনীয় প্রতিশ্রুতি, এবং গোপন অপকৌশলের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।আজ যারা সত্যিকারের রাজনীতি করেন, আপনারাও আসুন, এক হই, ঐক্যবদ্ধ হই সন্ত্রাস, মিথ্যাচার, চরিত্রহননের রাজনীতির বিরুদ্ধে, এই যুদ্ধে কোনো আপোষ নেই।

 পরিচ্ছন্ন রাজনীতির স্বপ্ন

আমি রাজনীতি করেছি আদর্শের, সততার, নীতির পক্ষে, বর্তমানে অনেকেই সুস্থধারার, পরিশ্রুত রাজনীতিবিদ রয়েছেন, যারা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে প্রস্তুত,
তাদের সঙ্গে আমার আলোচনা চলছে এবং চলবে'
এই আলোচনা হবে দেশ, দল এবং জনগণের স্বার্থে' কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে নয়।

 শেষ কথা

আমি এমপি প্রার্থী হয়েছি জনগণের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য, আপনাদের পাশে থেকে, আপনাদের সম্মান রক্ষায় কাজ করার জন্য। ঢাকা-১৮ এর প্রতিটি ভালোবাসার মানুষের কাছে আমার এই অঙ্গীকার' আমি আপনাদের সম্মান রাখবো, আপনাদের হয়ে কথা বলবো, আপনাদের হয়ে লড়বো।

আসুন, একসাথে গড়ি একটি সাহসী, সততার এবং শক্ত ঐক্যের ঢাকা-১৮।এই মাটি, এই মানুষ, এই শিকড় আর সহ্য করবো না অন্যায়, সন্ত্রাস আর ভণ্ডামির রাজনীতি।জনৈক ব্যক্তি যখন রাজনীতিকে ব্যবহার করে, কূটকৌশলের হাতিয়ার বানায়,যখন প্রয়োজন অনুযায়ী মানুষকে ‘ম্যানেজ’ করে,ভয় দেখায়, মিথ্যা আশ্বাস দেয় আর লোভ দেখায়, তখন তাকে চুপচাপ মেনে নেওয়া মানে সেই সন্ত্রাসের জন্ম দেওয়া, যে কাল একদিন আমাদের সবাইকে গিলে খাবে।