ঘটছে একের পর এক চুরির ঘটনা ।
চোরদের ধরে পুলিশে সোপর্দ করে বিপাকে পড়েছে গ্রামবাসীরা। চোরের পক্ষ
নিয়ে স্বার্থান্বেসী একটি মহল মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের মাধ্যমে
স্থনীয়দের হয়রানী ও ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন কলাপাড়া
উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের হাসনাপাড়া আবাসনের বাসিন্দারা। চোরের উপযুক্ত
শাস্তিসহ চুরি রোধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
করেছেন ভ‚ক্তভোগীরা। শনিবার শেষ বিকেলে স্থানীয় ১৩ নম্বর আবাসনে এ মানববন্ধন
অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, লালুয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি
গ্রাম ডা. আলমগীর হোসেন, বিএনপি ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. ইজুল
হাওলাদার, ১৩নং আবাসন প্যাকেজের সাধারন সম্পাদক সুমন গাজী, আলেয়া ও শিলা
বেগমসহ আরো অনেকে। এসময় স্থানীয় শতাধীক নারী ও পুরুষসহ গনমাধ্যম
কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, স্থানীয় মিঠু, তছলিম, হাবিব, মুছা, নাইম চিহ্নিত চোর চক্রের
সাথে জড়িত। বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে তারা দলীয় সাইনবোর্ড ব্যবহার
করে ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় চুরিসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সাথে
জড়িত ছিলো। মসজিদের মাইক, ব্যটারি, টিউবয়েলের হ্যান্ডেল, ট্রলারের গ্রাফি,
দড়ি, স্থানীয় দোকানদার মাহাবুলের নগদ ৪২ হাজার টাকাও মালামাল, মস্তফা
তালুকদারের অটোগাড়ির দুইটি ব্যটারি, নিজাম তালুকদারের দুইটি ব্যটারি,
খলিল হাওলাদারের ট্রলারের ৪টি সিট চুড়ি করে নিয়ে যায়। তবে, চুরি হয়ে যাওয়া
মালামাল অবৈধ ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয় বলে এমন অভিযোগ
রয়েছে। সেসময়ে চুরি যাওয়া মালামালসহ একাধিকবার তাদের হাতে নাতে ধরা হয়।
কিন্তু দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের কারনে আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হন
এলাকাবাসী। গত ২০ এপ্রিল রবিবার সন্ধ্যায় এসকল চোরদের ধরে থানায় সোপর্দ
করা হয়। চুরি যাওয়া মালামাল উদ্বার করে চোরদের জেল হাজতে প্রেরন করেন থানা
পুলিশ। তবে, তাদের ধরিয়ে দেয়ায় এখন বিপাকে পরছেন স্থানীয়রা। চোরদের
বাঁচাতে ও স্থানীয়দের ফাঁসানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন
অভিযোগ করছে একটি পক্ষ। এতে আতঙ্কে রয়েছেন ওই আবাসনের বাসিন্দারা।
বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি ও চুরির রোধের জন্য সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। এ সময়
উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মুসা গাজী, সোহাগ গাজী, সোহেল
তালুকদার, ৯নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ফরিদ বিশ্বাস, মহাসিন মৃধা, রিগাল সহ
স্থানীয় গ্রামবাসীরা।
কলাপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল ইসলাম বলেন, স্থানীয়রা
দুইজন চোরকে ধরিয়ে দেয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তির মাধ্যমে অপর দুই চোর ও চুরি
যাওয়া মালামাল উদ্বার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।