কলাপাড়ায় বাবার মামলার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় বরিশাল বিএম কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ইমরান মীরকে (২৫)পিটিয়ে রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯) এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নাওভাঙ্গা গ্রামে আলমগীরের দোকানের সামনে এ ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগের তীর স্বেচ্ছাসেবক দলনেতার বিরুদ্ধে। এঘটনায় আহতের পিতা ওই ইউনিয়নের গুডাবাছা গ্রামের বাসিন্দা জালাল মীর বাদী হয়ে ওই গ্রামের আল-আমিন খান, সজীব ফকির, জাকারিয়া এবং গামইরতলা গ্রামের ইয়াকুব, আবদুল হক ঘরামি, রফিক চাপরাসি ও রাসেল হাওলাদারসহ ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা করে কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। হাসপাতালের বেডে শুয়ে আহত ইমরান মীর জানান, সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। মারধরে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলা ও জখমসহ দুই পায়ের টাকনুতে কোপ লাগে। এসময় তার কাছে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা ও ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহতের পিতা জালাল মীর বলেন, তিনি স্থানীয় পাখিমারা বাজারে মাছের ব্যবসা করেন। ব্যবসার কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে গত ১৩ এপ্রিল ওই সন্ত্রাসীরা একত্রিত হয়ে তার নিজ বাড়ির সামনে বসে হামলা চালায়। তাকে মারধর করে পকেটে থাকা ৬৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিমে ভর্তি হন। চিকিৎসা শেষে গত ২৮ এপ্রিল বিষয়টি নিয়ে আদালতে একটি মামলা করেন। সে মামলার জের ধরে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব সোহানুর রহমান সুমনের নেতৃত্বে তার ছেলের উপর এ হামলা হয়েছে বলে তিনি
দাবি করেন। অভিযুক্ত নীলগঞ্জ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্যসচিব সোহানুর রহমান সুমন বলেন, মারধরের ঘটনাটি শুনে মীমাংসা চেষ্টা করেছি। তবে, এরসাথে তার কোন সম্পৃক্তা নেই বলে তিনি জানান।
নীলগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ শহিদ মাতব্বর বলেন, দলের নাম দিয়ে কেহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে প্রমাণ সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।