আগামী ক্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ১৪ চন্দনাইশ সাতকানিয়া আংশিক আসনে নির্বাচনে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ

আগামী  ক্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ১৪ চন্দনাইশ সাতকানিয়া আংশিক  আসনে  নির্বাচনে বিএনপি  মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ। এই আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পক্ষ থেকে একক প্রার্থী  ঘোষণা করা হয়েছে ১৪ আসনের প্রার্থী ডাক্তার শাহাদাৎ হোসেন ।
এলডিপির পক্ষ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন ডক্টর কর্ণেল অলি আহমদের সুযোগ্য সন্তান অধ্যাপক ওমর ফারুক সানি, 
বিএনপি  প্রার্থী হতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দলটির একাধিক নেতা। বিএনপির ১৪ আসনের প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক  আহ ডাক্তার শাহাদাৎ হোসেন এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিটি মেয়রের বিশস্ত কর্মী  চন্দনাইশ পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র সদস্য সেলিম উদ্দিন সেলিম, 
 চন্দনাইশ উপজেলা  বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান  নুরুল আনোয়ার চৌধুরী , সাবেক ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাবেক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন  ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার মহসিন জিল্লুর করিম
আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি  সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক দক্ষিণ বিএনপির নেতা  শফিকুল ইসলাম রাহি, চট্টগ্রাম ১৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী 
এডভোকেট মিজানুর রহমান,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ সভাপতি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট  নেতা এম এ হাশেম রাজু
 দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতা রাজিব জাফর চৌধুরী, 
দলের মনোনয়ন পেলে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বিএনপি প্রার্থীরা। নির্বাচনের ব্যাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে বলেও জানিয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা । 
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সিটি মেয়র চট্টগ্রাম ১৪ আসনে সংসদ সদস্য  পদে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা. শাহাদাত হোসেন বিশ্বস্ত অনুসারী  সেলিম উদ্দিন সেলিম 
শাহ আমানতকে  বলেন, একেকজন নেতাকর্মী অসংখ্য মামলার আসামি। স্বাভাবিকভাবেই লড়াই-সংগ্রামে  চন্দনাইশের নির্যাতিত নেতাদের পাশে ছিলেন সিটি মেয়র ডাক্তার শাহাদাত হোসেন,  চন্দনাইশ সাতকানিয়া আংশিক আসনে  প্রত্যাশা করবেন, এটা খুবই স্বাভাবিক। 
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের  সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে বলে জানান চন্দনাইশ পৌরসভা বিএনপি সদস্য সেলিম উদ্দিন সেলিম 
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র  একটা গুরুত্ত্ব বহন করে। কাজেই এমন একজন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী  হওয়া উচিত যে শিক্ষিত ডায়নামিক। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে ধারণা করছি বিএনপি একজন ডায়নামিক মানুষকে তাদের চট্টগ্রাম ১৪ চন্দনাইশ সাতকানিয়া আংশিক আসনে  নির্বাচন করবে। 
দলের আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী, দলটির নেতা শফিকুল ইসলাম রাহি  বলেন, সংসদ সদস্য নির্বাচনে  ফরম কিনব।  দীর্ঘদিন ধরে চন্দনাইশ সাতকানিয়া আংশিক আসনে প্রতিনিয়ত ছুটছেন মানুষের কাছে গিয়ে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছেন, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অসংখ্য সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে সহযোগিতা প্রদান করে আসছেন বলে জানান তিনি 
বিভিন্ন মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত এক প্রকার রাহি মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত সাংবাদিকদের যে কোন ধরনের সহযোগিতায় সব সময় এগিয়ে থাকেন তিনি 
। বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করবো। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বিএনপির এই নেতা। অপরদিকে 
চন্দনাইশ উপজেলা 
বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বলেন,  দীর্ঘদিন ধরে চন্দনাইশে বিএনপির হাল ধরে আছি দলের দু: সময়ে দলকে সংগঠিত করে দলের নেতৃত্বে সামনের সারিতে ছিলাম। 
আওয়ামী লীগের হামলা মামলার ভয় অপেক্ষিত করে রাজপথে ছিলাম দলের মনোনয়ন পাবেন বলে  আশবাদী তিনি। 
অপরদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার মহসিন জিল্লুর করিম বিশ্বস্ত অনুসারী কাজী মেজবাহ উদ্দিন বলেন, মহসিন জিল্লুর করিম চন্দনাইশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় একটি নাম এই আসনে তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী এই আসনের জনসাধারণ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ সভাপতি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট  নেতা এম এ হাশেম রাজু বলেন, চন্দনাইশের মানুষের জন্য সারা জীবন রাজনীতি করেছি এই এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ততা করা এবং অবহেলিত নিজ জন্মভূমিতে উন্নয়নে ছোঁয়া ছড়িয়ে দিতে নিরলসভাবে কাজ করছি। ইতিমধ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প কাজ চলমান আছে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করে কাজ গুলো আনা হয়েছে, আগামী নির্বাচনে যদি দল মনোনয়ন দেয় তাহলে বৃহৎ পরিকল্পনা নিয়ে এই আসনকে স্মার্ট নির্বাচনী আসন হিসেবে গড়ে তুলেতে কাজ করা হবে বলে জানান এম এ হাশেম রাজু,
আরেক প্রার্থী দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতা রাজিব জাফর চৌধুরী বলেন,চট্টগ্রাম ১৪ আসনটি বিএনপি ঘাঁটি এই আসন পুনরুদ্ধারে যা করা দরকার তাই করা হবে। দীর্ঘ সময়ে এই আসনের মানুষের সুখে দুঃখে ছিলাম। এই আসনের জনসাধারণের অনুরোধে তিনি  মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানিয়েছেন তিনি। দলের মনোনয়ন পাওয়ার আশাবাদী তিনি। 
আরেক প্রার্থী সাবেক বিচারপতি, ছাত্র দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আবদুস সালাম মামুন বলেন দলের দু: সময়ে দলের নেতাকর্মীদেরকে আইনি সহায়তাসহ রাজপথে থাকার জন্য সকল ধরনের সহযোগিতা করেন তিনি, অসহায় মানুষের কাছে গিয়ে তাদেরকে নিয়মিত সহায়তা করছেন বলে জানান তিনি দলের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার জন্য  চেষ্টা করেছন আগামী সংসদ নির্বাচনে ১৪ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সাবেক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন, 
সাবেক এমপি পদপ্রার্থী এডভোকেট মিজানুর রহমানের বক্তব্য নেয়া সুযোগ  হয়নি।
তবে তৃণমূলের কর্মীরা বলছেন, ১৫ বছর  যারা আওয়ামী লীগ সাথে যোগাযোগ রেখে কোন ধরনের মামলা হামলার শিকার হয়নি এ রকম প্রার্থী চান না বিএনপির কর্মীরা। তারা বলছেন, এমন ব্যক্তিকে প্রার্থী করা হোক, যারা রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। দুর্দিনে কর্মীদের পাশে ছিল। হঠাৎ করে কাউকে এনে প্রার্থী করা হলে মানবেন না তারা।