মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নতুন বসুরচর এলাকায় জোরপূর্বক জায়গা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নতুন বসুরচর এলাকায় জোরপূর্বক জায়গা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে উভয় পক্ষ।এদিকে পুলিশ বলছে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খবর নিয়ে জানা যায়, গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চর জাজিরা মৌজায় আরএস ৩৫৭নং দাগে ও ২৭নং খতিয়ানে রেকর্ডিও মালিকদের কাছ থেকে ১৩শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় সূত্রে মলিক হন জমু মিয়া ও মামুন নামে দুইজন। তবে সম্প্রতি গুয়াগাছিয়ায় ইউনিয়নের বসুরচর গ্রামের ফয়সাল তুষার নামে একজন সেনা কর্মকর্তা বাউশিয়া ইউনিয়নের চর জাজিরা মৌজার প্রায় ২০ফুট ভেতরে ঢুকে দেয়াল নির্মাণ করছেন বলে স্থানীয়রা জানায়।

সরেজমিনে নতুন বসুরচর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় কয়েকজন শ্রমিক দেয়াল নির্মাণের জন্য কলাম ঢালাইয়ের কাজ করছে। পাশে দাড়িয়ে স্থানীয় কয়েকজন তাদের বাঁধা দিচ্ছেন। কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা জামাল হোসেন নামে একজন জানান, 'এটি সেনাবাহিনীর লেফট্যানেন্ট কর্নেল ফয়সাল তুষার সাহেবদের জায়গা। আমরা নিয়ম মেনেই এখানে কাজ করছি'।

বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দা মুহাম্মদ দুল্লাল বলেন,'এখানে আমার জায়গাও রয়েছে। এটি দুটি ইউনিয়নের দুটি মৌজার সংযোগস্থল। সীমানা সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতা থাকায় সরকার থেকে সার্ভেয়ার এসে বেশ কয়েকবার জমি মেপে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে গেছে। আজকে যেখানে কাজ হচ্ছে সেখান থেকে তাদের জমি প্রায় ২০ ফুট পিছনে। আমরা তাদেরকে কাজ সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করলেও তারা আমাদের কথা শুনছেন না'।

বিষয়টি সম্পর্কে জমু মিয়া বলেন,'জমির পরিমাণ এবং মালিকানা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। আমরা বৈধ মালিকদের কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে জমির মালিক হয়েছি। তবে আরএস নকশায় কিছুটা সমস্যা রয়েছে।বিষয়টির সমাধান চেয়ে আমরা দেওয়ানী আদালতে মামলা করেছি। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে। লেফট্যানেন্ট কর্নেল ফয়সাল সাহেব বর্তমানে যেখানে দেয়াল নির্মাণের কাজ করছে বাস্তবে তার জমি এখান থেকে ২০ ফুটের মত পেছনে'।

বিষয়টি সম্পর্কে অপর পক্ষের লেফট্যানেন্ট কর্নেল ফয়সাল তুষার বলেন, ' আমরা আরএস নকশা অনুযায়ী জমি পরিমাপ করে তারপর কাজ করছি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, অন্যের জমি আমি কেন দখল করতে যাব? সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটু সমস্যা তৈরি হয়েছে যেটা উভয় পক্ষ বসে সমাধান করবো'।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ' এরকম একটি খবর আমিও পেয়েছি। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় আপাতত কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে'।