সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল বাজার (গরুর বাজার) এর ইজারদার ১৪৩১ বংগাব্দ (০১/০১/১৪৩১ থেকে ৩০/১২/১৪৩১) পর্যন্ত বৈধ ইজারাদার ছিলেন বিলাল উদ্দিন মেম্বার সাং পাইকরাজ সিলেট। ইজারাদার বিলাল উদ্দিন (মেম্বার) বাজারের ইজারা গ্রহণ করাকালীন সময়ে ৫ ই আগষ্ট দেশের পট পরিবর্তনের পরে, বি,এন,পি নাম দারী সাবেক যুবলীগের ভাড়াটিয়া মাস্তান মিজানুর রহমানের ছত্র ছায়ায়, মিজানের বাড়ীর পাশে জোর পূর্বক গরুর বাজার নিয়ে যায়। সেখানে মিজান ও তার দোসররা মিলে কিছুদিন গরুর বাজারের আশিলের টাকা প্রায় ৪০/৫০ লক্ষ টাকা  আদায় করে। সাবেক যুব লীগের ক্যাডার মিজান ও তার সহযোগীরা মিলে গরুর বাজারের আছিলের টাকা আত্বসাত করে।

বৈধ ইজারাদার বিলাল উদ্দিন মেম্বার কোন উপায় না পেয়ে, উনার বৈধ কাগজ পত্র দিয়ে হাইকোর্ট এ রীট মামলা করেন। রীট মামলার বিপরীতে বিজ্ঞ আদালত ইজারাদার বিলাল উদ্দিন (মেম্বার) কে পুনরায় গরুর বাজারের আশিল সমজাইয়া দেন। চাঁদাবাজ যুব লীগের ক্যাডার নিরুপায় হয়ে, শহরে চলে যায় এবং বাজার দখলের জন্য সুযোগের অপেক্ষায় থাকে।

বিলাল উদ্দিন (মেম্বার) এর ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ায় এবং হাইকোর্টে রীট মামলা থাকায় চলতি বছরের ১৪৩২ মেয়াদে তোয়াকুল বাজার টি উপজেলা প্রশাসন ইজারা দিতে পারেন নি। সরকারী রাজস্ব যাতে ক্ষতি গ্রস্থ না হয় সে জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ( ভুমি) বাজারের খাস কালেকশনের জন্য বিগত ১ লা বৈশাখ ১৪৩২,তহসিলদার, উপজেলা পরিষদের সি,এ লুতফুর রহমান কে পাঠান গরুর বাজারের আশিলের টাকা উত্তোলনের জন্য।

কিন্তু যুব লীগের ক্যাডার মিজানুর রহমান তার সহযোগীদের নিয়ে তহসিলদারকে বল প্রয়োগ করে, হত্যার হুমকি দিয়ে, তহসিলদারের ইজারা সংগ্রহের বই জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয় এবং সে নিজে গরুর বাজারের আশিলের টাকা সংগ্রহ করে সম্পুর্ণ  আদায় কৃত টাকা আত্বসাত করে। 

এই ডেবিল মিজান তোয়াকুল ইউনিয়নের একটি অভিজাত পরিবারের সন্তান, উচ্চ শিক্ষিত সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও উপজেলা প্রশাসনের সিএ জনাব লুতফুর রহমান এবং শালিসি ব্যক্তিত্ব রুহুল আমিন  কে নিয়ে  মিথ্যা তথ্য প্রচার করে এবং টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন  ফেইক আইডি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মান হানী কর তথ্য পরিবেশন করায়।এই সব মিথ্যা, বানুয়াট বিভ্রান্তিকর এবং মানহানি কর তথ্য প্রকাশের কারনে উপজেলা পরিষদের সিএ লুতফুর রহমান রুহুল আমিন উভয়ই বিভ্রত বোধ করেন। "মরনিং নিউজ ডটকম " এর স্থানীয় প্রতিনিধি কে, সিএ লুতফুর রহমান বলেন যে,আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) এর নির্দেশ পালন করতে গিয়ে চাঁদাবাজ যুবলীগের ক্যাডার মিজানের রোশানলে পড়েছি।এখানে আমার অপরাধ টি কোথায়?  আমি একজন সরকারি কর্মচারী। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ নির্দেশ পালন করা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য ।

এই রকম মানহানি কর ও ভূল বিভ্রান্তি কর তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট দারস্থ হবো।