পাবনার চাটমোহরে সরকারি হাটের জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মো. কফিল উদ্দিন নামের এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি। এছাড়াও একই এলাকায় হাটের আরেকটি সরকারি জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন বিএনপি কর্মী মফিজ উদ্দিন। ঘটনাটি ঘটেছে চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চড়ইকোল বাজারে। প্রকাশ্য দিবালোকে এমন দখল দাড়িত্ব চললেও কেউ কিছুই বলতে সাহস পাচ্ছে না।
জানা গেছে, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে বিএনপি নেতা মো. কফিল উদ্দিন দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে হরিপুর ইউনিয়নের চড়ইকোল বাজারে সরকারি হাটের জায়গা দখল করেন। জায়গা দখলে নিয়ে বেশ কিছুদিন হলো একটি পাকা ভবন নির্মাণ করছেন। প্রকাশ্যে ভবন নির্মাণ কাজ চলমান থাকলেও অদৃশ্য কারণে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। তার দেখা দেখি একই বাজারে বিএনপি কর্মী মফিজ উদ্দিনও হাটের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন। তাদের এমন দখলদারি কর্মকান্ডে এলাকার অনেক বিএনপির কর্মী সমর্থকগন বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

ঘটনার বিষয়ে হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক সিরাজুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এমন ঘটনা ঘটলে দলের মান ক্ষুন্ন হয়। কোন অবস্থাতেই আমরা দখলদারিত্বে বিশ্বাস করিনা।চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। বর্তমানে আমি দলীয় কোন পদেও নেই। সুতরাং তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও আমি কেউ না।

জায়গা দখল করে ঘর নির্মানের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিন বলেন, বাজারে আমার বসার মতো কোন জায়গা নেই। তাই বাজারের এই জায়গাটিতে একটি ঘর নির্মাণ করছি। আমি বিএনপির অনেক নির্যাতিত একজন কর্মী। আমি অনেকবার জেল জুলুম সহ্য করেছি। যদি আপনারা নিউজ করেন তাহলে আমার ঐ জায়গা ফাঁকা করে দিতে হবে। তবে জায়গাটি সরকারি ভাবে লিজ নেওয়ার জন্য আবেদন করবেন বলেও জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, সরকারি জায়গা দখল করে ভবন নির্মানের বিষয়টি আমি আপনার নিকট থেকেই শুনলাম। যদি ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় অবশ্যই ঐ জায়গা দখলমুক্ত করা হবে। প্রয়োজনে দখলকারির বিরুদ্ধে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।